আস্ত একটা জলাশয়ের রঙ বদলে হয়ে গেল গোলাপী! নেপথ্যে থাকা কারণ কিন্তু বুকে ভয় ধরাবে

বিশ্বজুড়ে পরিবেশ দূষণ একটা জলন্ত সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর সেই দূষণের জেরে কোথাও কোথাও বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির আসল রূপ। এমনই এক ছবি ধরা পড়ল আর্জেন্টিনার দক্ষিণে পেন্টাগনিয়া অঞ্চলে।

ওই অঞ্চলের একটি হ্রদ গোলাপি রঙ ধারণ করেছে। হঠাৎ করে হ্রদের জলের রঙ বদলে যাওয়াতে রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় মানুষজন।

হঠাত কেন জলের রূপ বদলে গেল? যতদূর পর্যন্ত তাকানো যাচ্ছে তাতে দেখা যাচ্ছে জলের রঙ যেন আবিরের মতো গোলাপি।

এভাবে জলের রঙ গোলাপি হয়ে গিয়েছে তা দেখতে ভালো লাগলেও এর পিছনে থাকা কারণটা মোটেও সুখকর নয়। পরিবেশবিদরা বলছেন, চিংড়ি মাছ চাষের জন্যে ভয়ঙ্কর ভাবে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তাতেই গোটা হ্রদের রঙ বদলে যাচ্ছে।

বদলে গেল আস্ত হ্রদের রঙ!

পেন্টাগনিয়া অঞ্চলে বিশাল হ্রদটি। সেই হ্রদে স্থানীয় সমস্ত কারখানা থেকে সমস্ত নোংরা ফেলা হয়। স্থানীয় কারখানাগুলি সবগুলি মাছের। মাছ ভালো রাখার জন্যে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও একাধিক কাজে জন্যে বিভিন্ন ধরনের ওষুধও ব্যবহার করা হয়। আর তা সমস্ত ব্যবহার করে ওই হ্রদের মধ্যে ফেলা হয়। দিনের পর দিন তা ফেলা হয়। আর টা ফেলতে ফেলতে কার্যত স্তুপ হয়ে গিয়েছে নোংরার। একই সঙ্গে বদলে গিয়েছে বিশাল ওই জলাশয়ের চেহারাও।

কে দায়ী!

জলাশয়ের পাশে থাকা মাছের কারখানাগুলিতে ব্যাপক ভাবে সোডিয়াম সালফাইট ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল প্রোডাক্টের ব্যবহার করা হয় মাছগুলিকে দিনের পর দিন ভালো রাখার জন্যে। এই ঘটনাতে ইতিমধ্যে গরজে উঠছে স্থানীয় পরিবেশবিদরা। তাদের দাবি, এভাবে ক্ষতি করা হচ্ছে পরিবেশের। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি এই বিষয়ে কোনও ক্ষতি হবে না। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পিংক কেটে আসল রঙ নাকি জলের বেরিয়ে আসবে।

সরকারকেই দায়ী করা হচ্ছে এই ঘটনাতে

পরিবেশবিদরা দাবি করেছেন, যে কোনও বর্জ্য পদার্থ ফেলার আগে তৎপর থাকতে হবে। স্থানীয় মানুষ অভিযোগ করছেন, বিশাল এই জলাশয়ের রঙ বদলে যাওয়াতে দেখতে সুন্দর লাগলেও ওই জল থেকে মাঝে মধ্যেই নোংরা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আর প্রচুর পরিমানে মাছি ওড়ে। যা আরও চারপাশকে দুষিত করে তুলছে। মাছি বিভিন্ন ধরনের রোগ ছাড়াচ্ছে চারপাশে। পরিবেশবিদরা জানাচ্ছেন, এই বিষয়ে সরকার একেবারে নজর দিচ্ছে না। ফলে এভাবে দূষণের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকছে। এই ঘটনার জন্যে সরকারই দায়!

কি বলছেন স্থানীয় মানুষজন!

ওই হ্রদের চারপাশের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গোটা সপ্তাহ জুড়ে ধীরে ধীরে গোটা হ্রদের রঙ বদলে যায়। আর তা বদলে গিয়েছে গোটা পিঙ্ক। কিন্তু পরিবেশবিদরা বলছেন, মাছে প্রচুর পরিমানে সোডিয়াম সালফাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। আর সেই সমস্ত কেমিক্যাল ফেলা হচ্ছে জলাশয়ে। আর সেই কেমিক্যাল জলে থাকা আরও কিছু রাসায়ানিকের সঙ্গে মিশছে। আর এর ফলেই বিশাল জলাশয়ের রঙটাই বদলে গিয়েছে। যা মোটেই পরিবেশের জন্যে ভালো নয়।

জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!

More ARGENTINA News  

Read more about:
English summary
lagoon turns pink in Argentina, what is the reason behind