করোনার জেরে গত প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে মার খাচ্ছে গোটা বিশ্ব তথা দেশের পর্যটন ব্যবসা। আর পর্যটন মন্দার ছাপ পড়ছে দেশীয় অর্থনীতিতে। বড় সমস্যার মুখে পড়ছে দেশের পর্যটন শিল্প নির্ভর রাজ্যগুলি। এদিকে করোনার জেরে বিদেশ থেকে ভারতে নন-এসেনসিয়াল ট্রাভেল বন্ধ রাখা হয়েছে। আর তারফলে পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হচ্ছে।
এদিকে নয়া পরিসংখ্যান বলছে, করোনা সঙ্কটের জেরে দেশের পর্যটন অর্থনীতি প্রায় ৪৩ শতাংশ কমে গিয়েছে। পাশাপাশি ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কাজ গিয়েছে প্রায় ১.৪৫ কোটি মানুষের। একটানা লকডাউনের কারণেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে বলে এদিন সংসদে জানিয়েছে কেন্দ্র। এমনকী একবছরে আগেও যেখানে এই খাতে প্রায় সাড়ে তিন কোটির উপর মানুষ কাজে যুক্ত হয়েছিল, তাদের মধ্যে অর্ধেকই কাজের অভাবেস বসে গিয়েছেন।
তবে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে পরিস্থিতির বেশ খানিকটা উন্নতি হয় বলে জানিয়েছে সরকার। তবে দ্বিতীয় পর্বের করোনা ঢেউয়ের কারণে ফের তৈরি হয় হতাশা। এদিন এই প্রসঙ্গে সংসদে বিশদ তথ্য পেশ করেন দেশের পর্যটনমন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি। যার প্রত্যক্ষ ছাপ পড়েছে সরকারি কোষাগারেও।
সরকারি তথ্য মতে পর্যটন খাতে যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা পড়ত তা গত বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ৪২.৮ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তা ১৫.৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে। তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এই হার ছিল ১.১ শতাংশ। এদিকে বর্তমানে দেশে করোনার প্রকোপ বেশ কিছুটা কমেছে। চোখ রাঙানিও কমেছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ঘোরাফেরা করছে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজারের মধ্যে। কিন্তু নিত্যনতুন স্ট্রেনের আগমণে তৈরি হয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা। আর তা আছড়ে পড়লেই পরিস্থিতি অচিরেই আরও খারাপ হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!