কী বলছে সমীক্ষা ?
এদিকে ভারতের করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে প্রথম ঢেউ চলাকালীন সময়ে এই ধরনের ফেসশিল্ড পড়ার প্রবণতা শুরু হয়। এদিকে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে এই ফেসশিল্ডই ডেকে আনছে অধিক বিপদ। সমীক্ষা বলছে বাড়তি সুরক্ষার জন্য যারা ফেসশিল্ড পরেছিলেন তাদের শরীরেই করোনা সংক্রমণের প্রবণতা আট গুণ বেড়ে যায়। এমনকী ফেসশিল্ড পরার পরেও যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের মৃত্যুর পরিমাণ সাধারণের থেকে ৫ গুণ বেশি ছিল।
নয়া গবেষণা গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের
এমনকী অন্যান্য রোগের কারণে মাঝামাঝি ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও বিপদ ডেকে এনেছে এই ফেসশিল্ড। অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের। সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়। এমনকী ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি ফেসশিল্ডের কারণেই আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে বলে বলা হচ্ছে।
মাস্কের মতো কার্যকরী নয় ফেসশিল্ড
সঠিক ভাবে সামাজিক দূরত্ব পালনের অভাব, মাস্কের অভাব, ও সঠিক ভাবে হত পরিস্কার করার কারণেই পরিস্থিতি আরও হাতের বাইরে গিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ফেসশিল্ড ব্যবহার করা জনতা ও ফেসশিল্ড ব্যবহার না করা জনতার উপর দীর্ঘ গবেষণা চালিয়েই এই তথ্য সামনে এনেছে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় ফেসশিল্ড কিছুটা সুরক্ষা দিতে পারে, তবে সেটা সম্ভবত মাস্কের মতো কার্যকরী নয়।
কী ভাবে বাড়ছে সংক্রমণের সম্ভাবনা ?
এদিকে ফেসশিল্ড নিয়ে একটি ল্যাব পরীক্ষার প্রতিবেদন এর আগেই ফিজিকস অব ফ্লুইডস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। আর তাতেই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। গবেষণা চালানোর সময় বিজ্ঞানীরা একটি পুতুলের মুখে ফেসশিল্ড দিয়ে সেটার সামনে ফগ মেশিনের মাধ্যমে ড্রপলেট ছড়িয়ে দেন। আর তাতেই তারা দেখতে পান ফেসশিল্ড অনেক ড্রপলেটগুলোকে বাধা দিলেও আকারে অনেক ছোট ড্রপলেটগুলো ফেসশিল্ডের নিচের দিকে স্থির হয়ে জমা হয়েছে, বা ভেসে বেড়াচ্ছে। আর এতেই সংক্রমণের প্রবণতা বাড়ে বলে মত তাদের।