৭টি সীমান্ত সংঘর্ষের মধ্যে ৪টিই অসমে
এমনকী সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ৭টি সীমান্ত সংঘর্ষের মধ্যে ৪টিই হয়েছে অসমে। মঙ্গলবার লোকসভায় এই তথ্য পেশ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় ও মিজোরামের মতো চার রাজ্যের সঙ্গেই দীর্ঘদিন থেকে সীমান্ত বিবাদে লিপ্ত রয়েছে অসম। সবথেকে বেশি সমস্যা মেঘালয়ের সঙ্গে। ৷ সীমানা বরাবর মোট ১২ টি এলাকাকেই তাদের নিজের বলে দাবি করে দুই রাজ্যই৷
আর কোন কোন রাজ্যে রয়েছে সীমান্ত সমস্যা ?
অন্যদিকে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যগুলি ছাড়াও ভারতের আরও বেশ কিছু রাজ্যের সীমান্ত বিবাদ নিয়েও বড় তথ্য পেশ করে নিত্যানন্দ রাই। সাহারানপুরের বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদ হাজী ফজলুর রহমানের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান হরিয়ানা-হিমাচলপ্রদেশ, লাদাখ-হিমাচলপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র-কর্ণাটক, অসম-অরুণাচলপ্রদেশ, অসম-নাগাল্যান্ড, অসম-মেঘালয় এবং অসম-মিজোরামের মধ্যে বিবাদ ক্রমেই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। যার বলে অন্তঃরাষ্ট্রীয় সমস্যার পরিমাণও ক্রমেই বাড়ছে।
আসল সমস্যার সূত্রপাত কোথায় ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে অসম থেকে একটা অংশ আলাদা করে নিয়ে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিজোরাম সৃষ্টি করা হয়। ১৯৮৭-তে আবার পূর্ণ অঙ্গরাজ্যের মর্যাদাও পায় মিজোরাম। আর তখন থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। মিজোরামের তিনটি জেলা কোলাসিব, মামিত ও আইজলের সঙ্গে অসমের তিনটি দক্ষিণাঞ্চলীয় বাঙালি-প্রধান জেলা কাছাড়, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জের যে মোট প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার লম্বা সীমান্ত রয়েছে। আর সেখানেই জায়গা নিয়ে জারি রয়েছে বিবাদ।
পঞ্চাশ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি সমস্যার
বিবাদ গড়িয়েছে মেঘালয়েও। গত প্রায় পঞ্চাশ বছরেও যার নিষ্পত্তি করা যায়নি। এদিকে সম্প্রতি অসম মিজোরামের সংঘর্ষের জেরে দুই রাজ্যই একে অপরকে দোষারোপ করেছে। মিজোরামের দিকেই দোষের আঙুল তুলেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সেখানে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা পাল্টা দাবি করে মঙ্গলবার জানান তাদের এলাকায় জোর করে ঢুকে পড়ে অসম পুলিশ। তারাই প্রথম গ্রেনেড ছুড়ে ও সাবমেশিনগান, রাইফেল দিয়ে ফায়ারিং শুরু করে। এদিকে গতকালের ঘটনারর জেরে থমথমে পরিস্থিতি গোটা এলাকার।