বরাবরই ছাত্রদের ভালো বাসতেন তিনি। আর ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলতেই বলতেই চলে গিয়েছিলেন তিনি। আজ থেকে ৬ বছর আগে এরকমই একটা দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালাম আজাদ। তবে সেটাই তাঁর একমাত্র পরিচয় ছিল না।
দেশে ১১ তম রাষ্ট্রপতি আবুল পাকির জইনুলাবেদিন আব্দুল কালাম ছিলেন দেশের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানীও। ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে জন্ম প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির। স্কোয়ার্ৎজ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি।
সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর মাদ্রাজ আইআইটি থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে ইসরো ও ডিআরডিও-র সঙ্গে গবেষণার কাজে যুক্ত ছিলেন তিনি।
একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারে রয়েছে তাঁর নাম। তাঁর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরির ক্ষেত্রে। এ ছাড়া দেশের পরমাণু পরীক্ষার (পোখরান ২) ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকাও ছিল তাঁর। তবে ব্যালিস্টিক মিসাইলের ক্ষেত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তাঁকে ভারতের মিসাইল ম্যান আখ্যা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞানে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান 'ভারতরত্ন' প্রদান করা হয়। তবে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও তিনি এত সহজ মানুষ ছিলেন, তাঁকে পিপলস প্রেসিডেন্ট বলে সম্বোধন করা হত।
২০১৫-র ২৭ জুলাই আচমকাই হৃদরোএ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৮৩ বছর। শিলং আইআইএমে লেকচার দিচ্ছিলেন তিনি। ছাত্রদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতার মাঝেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি।
আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিজেপি প্রেসিডেন্ট জেপি নাড্ডা। তিনি লিখেছেন. 'ভারতরত্ন এপিজে আব্দুল কালামকে শ্রদ্ধা জানাই। উনি মিসাইল ম্যান হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
উনি একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। ভারতকে পরমাণু শক্তিধর করে তোলার পিছনে তাঁর ভূমিকা অপরিসীম।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!