অলিম্পিকে টমের সোনা
টোকিও অলিম্পিকের ডাইভিং বিভাগে কামাল করেছেন গ্রেট ব্রিটেনের টম ডালে। ম্যাটি লি-র সঙ্গে জুটি বেঁধে পুরুষদের সিনক্রোনাইসড ১০ মিটার প্ল্যাটফর্মে তিনি প্রথম স্থান দখল করেছেন। ডাবলস ইভেন্টে ৪৭১.৮১ পয়েন্ট অর্জন করেছেন টমের দল। একই সঙ্গে দীঘদিনের স্বপ্নপূরণ করতে পারার খুশিতে ডগমগ গ্রেট ব্রিটেনের ডাইভার। যিনি গত ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকের একই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন।
|
চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীর দুই মাস পর সাফল্য
চার বছর আগে আমেরিকান পরিচালক, স্ক্রিন রাইটার, প্রোডিউসার ডাস্টিন লান্স ব্ল্যাককে আইনি পদ্ধতি মেনে বিয়ে করেছিলেন ডাইভার টম ডালে। যে স্বামীর বিশ্বজোড়া নাম। ২০০৮ সালে জীবনীনির্ভর সিনেমা 'মিল্ক'র পাণ্ডুলিপি নির্মাতা হিসেবে ২০০৮ সালে জিতেছিলেন অস্কার। কর্মজীবনে পেয়েছেন আরও অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। সেই ব্যক্তির উচ্চতা ছুঁতে চেয়েছিলেন টম। এবং স্বপ্নপূরণ হয়েছে অবশেষে। অলিম্পিকে সোনা জিতে বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছেন গ্রেট ব্রিটেনের ডাইভার। চতুর্থ বিবাহবার্ষিকীর দুই মাস ঘটেছে এই অসাধারণ ঘটনা। যাতে সম্বৃদ্ধ হয়েছে সমকামী দম্পতি।
|
টমের গর্বে গর্বিত ব্ল্যাক
টোকিও অলিম্পিকের ডাইভিং বিভাগে সোনা জিতেছেন টম। জীবনসঙ্গীর সেই পারফরম্যান্স টিভিতে বসে দেখেছেন ৪৭ বছরের ব্ল্যাক। সঙ্গী ছিলেন টমের মা ডেবিয়ে। ব্রিটিশ অ্যাথলিটের ঐতিহাসিক জয়ের পর তাঁরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় টমকে এই সাফল্যের জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন ব্ল্যাক।
|
বয়সে ২০ বছরের ছোট-বড়
টম ডালে ও ডাস্টিন লান্স ব্ল্যাকের মধ্যে বয়সের পার্থক্য ২০ বছরের। তবু তাঁর হাতে হাত রেখে একই সঙ্গে জীবনযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন বিশ্বে। আজ তাঁরা সমকামী সমাজের কাছে আদর্শ। নিজ নিজে জগতে ইতিহাস রচনা করা রথী।