বিধানসভার রুল বুক না মানার অভিযোগ
বিজেপির তরফে পিএসির চেয়ারম্যান নির্বাচনে বিধানসভার রুলবুক না মানার অভিযোগ তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিধানসভার রুল বুকের ৩০২ ধারা অনুযায়ী, আনুপাতিক হারে পিএসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। এব্যাপারে ১৩:৬ আনুপাতিক হার হওয়ার কথা। কিন্তু মুকুল রায়কে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আনুপাতিক হার ১৩:৭। আর মুকুল রায়ের নাম প্রস্তাবের ক্ষেত্রেও কোনও বিজেপি বিধায়ক ছিলেন না বলেও জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে।
বিজেপির হাতে প্রামাণ্য নথি
এই মামলায় বিজেপির তরফে প্রামাণ্য নথি হিসেবে পেশ করা হয়েছে, মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ভিডিও ফুটেজ। এছাড়াও মুকুল রায়কে নিয়ে প্রকাশিত খবরের কাগজের কাটিংও বিজেপির করা আবেদনে জমা দেওয়া হয়েছে। জমা দেওয়া হয়েছে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার পরে মুকুল রায়ের টুইটার অ্যাকাউন্টের বাহ্যিক পরিবর্তনের স্ক্রিন শট। এই ছাড়াও মুকুল রায়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে নানা কর্মকাণ্ডের নানা ছবি ও ভিডিও জমা দেওয়া হয়েছে।
আদালতে দুটি মামলা দায়ের
আদালতে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রথম মামলাটি হল পিএসি চেয়ারম্যান করা নিয়ে। দ্বিতীয় মামলাটি হল মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে। শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা করার পাশাপাশি সংবিধান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন। মুকুল রায়কে দুই পদ থেকে সরাতে সব রকমের চেষ্টা করার ব্যাপারে আগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিধানসভায় শুনানিতে খুশি নন শুভেন্দু অধিকারী
১৬ জুলাই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে শুনানি হয়। শুনানির পরবর্তী তারিখও জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। কিন্তু তাতে খুশি কিংবা সন্তুষ্ট নন শুভেন্দু অধিকারী। কেননা তিনি নিজেই জানিয়েছেন ২০১৬ সালে সিপিএম-এর টিকিটে নির্বাচিত হওয়া গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ২৩ বার শুনানি হয়েছিল।