দিল্লিতে মমতা
একুশের ভোটে বিপুল সাফল্য। সব হিসেব-নিকেশ ওলট পালট করে দিয়ে ২০০-র বেশি আসনে বাংলা জয়। গোটা দেশের গেরুয়া ঝড়ের মাঝে বাংলায় হঠাৎ করে সবুজ ঝড় জাতীয় রাজনীতিতে যেন হিসেব বদলে ফেলেছে। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লিতে পা রাখার নেপথ্যে গভীর রাজনৈতিক সমীকরণ রয়েছে। সেকারণেই গতকাল থেকে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহলের নজর রয়েছে দিল্লির দিকে। মমতা কী করছেন। কার সঙ্গে বৈঠক করছেন। কারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন সেসব নজরে রেখেছে বিজেপিও।
বিজেপিকে মাৎ করতে কোন কৌশল
মমতার এই দিল্লি সফর যে ২০২৪-র লোকসভা ভোটকে সামনে রেখেই। সেটা বুঝতে আর বাকি নেই কারোর। কিন্তু কোন কৌশলে এগোচ্ছেন মমতা। এই নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। বিজেপিকে মাৎ করতে কি তবে বিজেপির কৌশলই আয়ত্ত করছেন মমতা। একুশের ভোটের আগে েযভাবে মোদী-শাহ দিল্লি থেকে বাংলায় ডেলিপ্যাসেঞ্জারি করেছিলেন। এবং পদে পদে মমতা সরকারকে কোন ঠাসা করে তাঁকে পদত্যাগ করার জন্য প্রায় বাধ্য করে ফেলছিলেন তিনি। এবার মমতাও কি ধাপে ধাপে সেদিকেই এগোচ্ছেন।
পিকের চাণক্যনীতি
মমতাকে দিল্লির পথে এগিয়ে দিতে যে সোনিয়া গান্ধীর প্রয়োজন সেটা আঁচ করেই আগে থেকেই সোনায়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করে মমতার পথ তৈরি করে রেখেছেন পিকে। যাঁর সুকৌশলী নীতিতেই মমতার এই বাংলা জয়। ২০২৪ পর্যন্ত মমতার সঙ্গে থাকবেন পিকে। তাই শপথ থেকে বৈঠক একাধিক ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে রেখেছেন প্রশান্ত কিশোরকে। দিল্লির পথ তৈরি করে দিতেও সেই প্রশান্ত কিশোরকেই এগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
আবকি বার দিদিকা সরকার
মমতা পা রাখার আগেই টুইটারে ট্রেন্ড শুরু হয় হ্যাশট্যাগ আবকিাবার দিদিকা সরকার । সেই ট্রেন্ড তৈরি করার নেপথ্যেও সুনিপুন রণকৌশল রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মোদী প্রথম ক্ষমতায় আসার আগেও বিজেপির স্লোগান ছিল ছিল আবকি বার মোদী সরকার। সেই ট্রেন্ডেই অর্ধেক ভোট ঝুলিতে পুরেছিল গেরুয়া শিবির। টুইটারে সেই আদলেই আবকিবার দিদিকা সরকারের ট্রেন্ড ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে কোন পথে এগোতে চাইছেন মমতা।