প্রতিযোগিতায় পরাজিত ছাত্রী মুখে হাসি ফুটিয়ে দিলেন কোচ!
যেকোনও খেলাতেই কোচের ভূমিকা তাঁর শিষ্যের পারফরম্যান্সের পরতে পরতে লেগে থাকে। প্রশিক্ষকের ভূমিকায় কোচ যেমন শিষ্যকে যোগ্য প্রতিযোগী হিসাবে গড়ে তোলেন, তেমনই তাঁকে মানসিক সমর্থনও যুগিয়ে যান। সেই জায়গা থেকে কার্যত কোচের ভূমিকায় গিলের্মো সসেদো একশোয় একশো পাবেন! তাঁর ছাত্রী ফেন্সার পেরেস মরিস অলিম্পিকে হেরে বিদায় নিতেই , ছাত্রী মুকে হাসি ফুটিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে দিয়ে দিলেন কোচ।
১১ বছর ধরে 'না' কে 'হ্যাঁ' করেই ছাড়লেন!
এই প্রেমের কাহিনি 'লাভ ইন টোকিও' শব্দ বন্ধনীতে হয়তো বা ধরা যেতে পারে। গত ১১ বছর ধরে কোচ গিলের্মো সসেদো পেরেস মারিসকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে গিয়েছেন। তবে তাতে সায় দেননি অলিম্পিয়ান। এদিকে, এবার টোকিও অলিম্পিকে ফেন্সার পেরেস মরিস অবসন্ন হতেই তাঁকে লাইভ টিভি শোতে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে দেন কোচ পেরেস। রুদ্ধশ্বাস প্রতিযোগিতার ময়দানে এক টুকরো এই প্রেম কাহিনি মুহূর্তে মন ছুঁয়ে যায় অনুরাগীদের।
লাইভ টিভি শোতে 'প্রপোজ' !
অলিম্পিকের দৌড় এবারের মতো শেষ হয় পেরেস মরিসের। এরপর এক লাইভ টিভি শোতে ফেন্সার এক সাক্ষাৎকারে কথা বলছিলেন। আচমকাই দেখা যায়, মরিসের পিছন থেকে তাঁর কোচ গিলের্মো সসেদো একটি কাগজের চিরকূটে লেখেন 'এবার কি তুমি আমায় বিয়ে করতে চাও?' সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আচমকা পিছনে ফিরে পেরেস এমন প্রস্তাব দেখেই উৎফুল্ল হয়ে যান। হারের বিষণ্ণতা কাটিয়ে তখন শুধুই প্রেমের জোয়ার। অলিম্পিকের প্রতিযোগিতার ময়দানে তখন অন্য ছবি ক্যামেরাবন্দি হয়ে যায়।
এমন ঘটনা প্রথমবার নয়
অলিম্পিকের ময়দানে প্রেম পর্ব আগেও ঘটেছে। ৫ বছর আগে রিও অলিম্পিকে ব্রেঞ্জ জয়ী কিং কাইকে চিনের ডাইভার হে জি প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। অলিম্পিকের আসরে সিলিভার মেডেল সেরিমনিতে এই প্রেম পর্ব মন ছুঁয়ে গিয়েছিল দর্শকের।
লক্ষ্যে এবার ঘর বাঁধার স্বপ্ন!
বহুদিন ধরেই ফেন্সিংয়ের দুনিয়ায় গিলের্মো সসেদো ও ছাত্রী পেরেস মরিসের প্রেম নিয়ে বহু খবর শোনা গিয়েছে। ১৭ বছর ধরে পেরেসকে কোচিং করছেন গিলের্মো সসেদো। এই বন্ধুত্বে আসে প্রেমও। তবে পেরেসকে প্রতিবারই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে তাতে নেতিবাচক উত্তরই পেয়েছেন গিলের্মো সসেদো। এরপর ২০২১ এ এক্কেবারে বিয়ের প্রস্তাব। আর তাতেই হ্যাঁ সূচক উত্তর। পেরেস মরিস ও গিলের্মো সসেদোর অই প্রেম কাহিনির খবর বাকি অলম্পিয়ানরা জানতে পেরেই শুভেচ্ছার বন্যা বইয়ে দেন। আর অলিম্পিকের খেলায় হেরে যাওয়া পেরেস ও তাঁর কোচ জীবনের সবচেয়ে বড় খেলায় জয়ের আনন্দ নিয়ে এবার ঘরে ফেরার প্রস্তুতিতে। লক্ষ্যে এবার ঘর বাঁধার স্বপ্ন!