|
বিজেপিকে নিশানায় অভিষেকের টুইট
এদিন টুইটে অভিষেক লেখেন, প্রশান্ত কিশোরের টিমকে যেভাবে আটকানো হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে তৃণমূল ত্রিপুরার মাটিতে পা রাখার আগেই বিজেপি ভয় পেয়ে গিয়েছে। বাংলায় আমাদের জয়ে তারা এতটাই শঙ্কিত যে, ২৩ জন আইপ্যাকের কর্মীকে হাউস অ্যারেস্ট করে রেখেছে। তিনি বলেন, বিজেপির অপশাসনে গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে।
যে রাজ্যে তৃণমূল ইউনিট, সেখানে সরকার গঠনই লক্ষ্য
বাংলায় টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদোন্নতি হয়েছে। তিনি যুব সভাপতি থেকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। পদোন্নতির পর অভিষেক বলেন, দেশের কোনায় কোনায় তৃণমূলের সংগঠনকে ছড়িয়ে দেওয়াই তাঁর লক্ষ্য। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি এও বলেন, যে রাজ্যে তৃণমূল ইউনিট খুলবে, সেখানে সরকার গঠনের জন্যই ঝাঁপাবে। চারটে-পাঁচটা বিধায়ক জেতা তাঁদের লক্ষ্য নয়।
সলতে পাকানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তৃণমূল তার আগে টার্গেট করেছে ত্রিপুরাকে। ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে উল্টে দেওয়ার জন্য সলতে পাকানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই এই কাজ, অভিযোগ
সেই লক্ষ্যেই ত্রিপুরাবাসীর মন বুঝতে প্রাথমিক পর্যায়ে সমীক্ষার জন্য প্রশান্ত কিশোরের টিম আই প্যাকের সদস্যরা আগরতলায় পৌঁছেছিলেন। তাঁরা আগরতলার এক হোটেলে ওঠার পরই সেখানে আটকে জেরা করা শুরু করে ত্রিপুরা পুলিশ। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই তাঁরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
পিকের টিম আটক, তৃণমূলকে পাল্টা বিজেপির
ত্রিপুরা তৃণমূল জানায়, এভাবে পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে আটকে তৃণমূলকে রুখতে পারবে না বিজেপি। রাজ্যের বিজেপির অপশাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে জনতা। এবার তৃণমূলের হাত ধরে বিজেপির অপশাসনের সমাপ্তি হবেও। বিজেপি মুখপাত্র জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে নিয়মবিধি মেনে চলতে হচ্ছে। তাই বাইরে থেকে একসঙ্গে কেউ এলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে স্বাভাবিক নিয়মে। আর ত্রিপুরায় তৃণমূলের কী শক্তি আছে যে, বিজেপিকে তারা ভয় পেতে যাবে।