সাময়িক ভাবে স্থিতাবস্থা ফিরলেও আগ্রাসী নীকি থেকে যে চিন কোনোভাবেই পিছু হটেনি তা মাঝে মাঝেই স্পষ্ট হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই সিকিমের নাকুলা বর্ডারের কাছে লালফৌজের অস্থায়ী ক্যাম্পও উত্তেজনা বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে। এবার ফের পূর্ব লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডের কাছে ফের চিনা গতিবিধি ধরা পড়ল ভারতীয় সেনার ব়্যাডারে।
সূত্রের খবর, পূর্ব লাদাখের ডেমচকে চারদিং নালার পাশে চিনারা তাঁবু গেরে রয়েছে বলে নজরে এসেছে ভারতীয় সেনার। তবে তাদের সকলেই সাধারণ নাগরিক বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। তবে তাদের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রই ডেমচক থেকে তাদের ফিরে যেতে বলা হয় ভারতীয় সেনার তরফে। কিন্তু তা অগ্রাহ্য করেই এখনও ওই এলাকা টিনা তাঁবু লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে খবর।
আর এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেথছে ভারত। অনেকেরই দাবি, এর পিছনে হাত থাকতে পারে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির। এদিকে এর আগেও ডেমচকে মুখোমুখি হতে দেখা গিয়েছিল দুই দেশের সেনাবাহিনীকেই। এমনকী ওই এলাকার কূটনৈতিক সমস্যা নিয়েও দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক হয়। তবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বিভিন্ন জায়গা নিয়ে দুই দেশের মতবিরোধী এখনও রয়েছে।
আর এখানেই দানা বাঁধছে নতুন রহস্য। এদিকে ডেমচক এবং ট্রাই হাইটসের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) বিতর্কিত অংশ নিয়ে ভারত-চিন বিবাদ দীর্ঘদিনের। যদিও নব্বইয়ের দশকে ভারত-চিন যৌথ কার্যকরী গোষ্ঠীর বৈঠকে দুই দেশই নিজেদের মতেই নিজেদের অংশ মেনে নেয়। কিন্তু মানচিত্রের আদান-প্রদান হয়ে এখনও মেটেনি বিতর্ক। ওই এলাকা ছাড়াও গালওয়ান উপত্যকার কেএম১২০, শায়োক সুলা অঞ্চলের পিপি১৫, পিপি১৭এ, রিচিন লা এবং রেজ্যাং লা নিয়েও জারি রয়েছে সমস্যা।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!