নজরে অঙ্গদ
আগামীকাল শুটিংয়ে ভারতের নজর থাকবে একমাত্র পুরুষদের স্কিটের দিকেই। যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রথম দিনের শেষে অঙ্গদ বীরসিং বাজওয়া রয়েছেন একাদশ স্থানে। ৬ জন ফাইনালে জায়গা পাকা করতে পারবেন। এই ৬ জনকে নিয়ে ফাইনাল শুরু হবে ভারতীয় সময় বেলা ১২টা ২০ নাগাদ। ৩০ জন শুটারের মধ্যে ২৫ নম্বরে রয়েছেন মৈরাজ আহমেদ খান। ৭৫-এর মধ্যে দুটি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় বাজওয়া একাদশ স্থানে রয়েছেন। আসাকা শুটিং রেঞ্জে প্রথম তিনটি সিরিজে অঙ্গদ স্কোর করেন যথাক্রমে ২৪, ২৫, ২৪। যোগ্যতা অর্জনের দ্বিতীয় দিনে ফাইনালে ওঠার জন্য তাঁর হাতে আর দুটি সিরিজ।
বন্দুক বিভ্রাট
টোকিও অলিম্পিকে ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ভারতের পদক জয়ের বড় ভরসা ছিলেন মানু ভাকের ও যশস্বিনী সিং দেসওয়াল। তবে মানুর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বন্দুক বিভ্রাট। তা সামাল দিয়ে মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। ফাইনাল শটে আট মারায় শেষে ৫৭৫ স্কোর নিয়ে দ্বাদশ স্থানে তাঁকে শেষ করতে হয়। অষ্টম স্থানে থেকে যিনি ফাইনালে যান তাঁর স্কোর ছিল ৫৭৭। ফলে বন্দুক বিভ্রাট না হলে পয়েন্ট নষ্টের খেসারত দিতে হতো না মানুকে। ফাইনালে উঠতে সমস্যাই হতো না। শেষ পাঁচটি শটে চারটি মূল্যবান পয়েন্ট নষ্ট করেন যশস্বিনী। ৫৯তম শটে তিনি ৮ মারেন। ফলে মানুর ঠিক নীচেই থেকে যশস্বিনীরও ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়।
কোথায় সমস্যা
পিস্তল কোচ রোণক পণ্ডিত জানিয়েছেন, ১৬তম শটের পর মানুর পিস্তলের ককিং লিভার ভেঙে গিয়েছিল। ফলে সেটা বদলাতে যে সময় লাগে তাতে মানুর অনেক সময় নষ্ট হয়। যে সময় সমস্যা ধরা পড়ে তখনও ৪৪টি শট মারতে ৫৬ মিনিট হাতে ছিল। কিন্তু পরে বন্দুকের ককিং লিভার বদলানোর পর ৪৪টি শট মারতে মানুর হাতে ছিল মাত্র ৩৮ মিনিট। ককিং লিভার বদলাতে গিয়ে গ্রিপ ও ট্রিগার সার্কিটও খুলতে হয়েছিল। লিভার বদলানোর পর দেখা যায় সার্কিট কাজ করছে না। ফলে আবার সেটা সারাতে কিছুটা সময় চলে যায়।
গর্বের লড়াই
দুর্ভাগ্যের বিষয় যখন মানুর বন্দুকে এই বিভ্রাট ধরা পড়ে তখন তিনি ছিলেন চতুর্থ স্থানে। বন্দুক সারানোর পর মানু যখন শুরু করেন তখন বাকিদের চতুর্থ সিরিজ চলছিল। মানুকে শুরু করতে হয় দ্বিতীয় সিরিজ থেকে। নিয়ম অনুযায়ী বন্দুক বিভ্রাটের জন্য মানু কোনও অতিরিক্ত সময় পাননি। তাছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চাপও বাড়তে শুরু করেছিল। তা সত্ত্বেও কমনওয়েলথ গেমস ও ইউথ অলিম্পিকে সোনাজয়ী বিশ্বের ২ নম্বর শুটার মানু যেখানে শেষ করেছে তাতে গর্বিত ভারতীয় শিবির। পাঁচ মিনিটেরও বেশি সময় নষ্টের পরও তিনি যে ফল করেছেন তার প্রশংসা করেছেন প্রাক্তন অলিম্পিয়ানরাও।
হতাশ করলেন দীপক ও দিব্যাংশ
পুরুষদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে হতাশ করলেন দীপক কুমার ও দিব্যাংশ সিং পানওয়ার। যোগ্যতা অর্জন পর্বে ২৬ ও ৩২ নম্বর স্থানে শেষ করেন তাঁরা। দীপকের স্কোর ছিল ৬২৪.৭, দিব্যাংশের ৬২২.৮। প্রথম সিরিজেই যে খারাপ শুরু তাঁরা করেন, পরে তা পুষিয়ে দিতে ব্যর্থ হন দুজনেই।