মমতার দিল্লি সফরের আগে তৎপরতা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২৬ জুলাই সোমবার বিকেলে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে ওইদিন নবান্নে বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে কলকাতা ও আশপাশের জেলার মন্ত্রীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে দিল্লিতে সক্রিয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে যাওয়ার আগে তিনি সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লি সফরকে গুরুত্ব নয়
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরকে গুরুত্ব দিতে রাজি নয় গেরুয়া শিবির। কটাক্ষ করে বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, এর আগে অসম এবং দিল্লিতে প্রার্থী দিয়ে জমানত জব্দ হয়েছিল তৃণমূল প্রার্থীদের। আর এবার তিনি যেসব বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন, নিজেদের রাজ্যেই তাঁদের প্রাসঙ্গিকতা নেই। বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট গঠনের ডাক নিয়েও কটাক্ষ করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।
সরকার চালানোর মতা পরিস্থিতি নেই
এদিন দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা প্রসঙ্গ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের যে আর্থিক অবস্থা আর ভুয়ো আইএএস এবং আইপিএসদের নিয়ে যেভাবে কেলেঙ্কারি হয়েছে, আর দুর্নীতি বেড়েছে, তাতে আর সরকার চালানোর মতো পরিস্থিতি নেই। তিনি (মমতা) মোদীজির কাছে হাতজোড় করতে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর আরও কটাক্ষ মোদীজিকে বলবেন, আর পারছি না, সাহায্য করুন। যদিও এব্যাপারে তৃণমূলের তরফে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী যদি প্রধানমন্ত্রীর কাছে টাকা চান, তাহলে তা রাজ্যের হকের টাকা।
২০২৪-এর ভোটে লড়তে পারবেন কিনা সন্দেহ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের দিল্লি সফর ২০২৪-কে লক্ষ্য করেই। এব্যাপারে এদিন দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ ওনার দলে যে খুনো খুনি শুরু হয়েছে, তাতে ২০২৪-এর ভোটে তারা লড়াই করতে পারবে কিনা সন্দেহ। তিনি বলেন, ২০১৯-ও তো সবার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন, ব্রিগেডে সভা করেছিলেন। তার ফল কী হয়েছিল তা সবাই দেখেছেন।