চলছে ব্যাপক দরকষাকষি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মন্ত্রিসভার রদবদলে নিয়ে ব্যাপক দর কষাকষি চলছে রাজস্থানে। আর তার জেরেই কংগ্রেস শিবিরের অন্দরের দ্বন্দ্ব নতুন করে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে রাজস্থানের রাজ্য-রাজনীতিতে। ক্ষমতা নিয়ে অশোক গেহলট-সচিন পাইলটের টানাপোড়েনের জেরে মাঠে নামতে হয়েছে খোদ কংগ্রেস হাইকমান্ডকে।
কী নির্দেশ দিল কংগ্রেস হাইকমান্ড?
এদিকে সচিনের অনুগামীদের মন্ত্রিসভার স্থান দেওয়ার জন্য আগেই নির্দেশ এসে গিয়েছে খোদ এআইসিসি থেকেও। কিন্তু তাতে বেঁকে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। অন্যদিকে ৫ থেকে ৬টি পদের দাবিতে অনড় রাজস্থানের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী। জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইলেও এখনও দলের তরফে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল ও অজয় মাকেনের পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহলে।
যোগ্যতার মাপকাঠির বিচারেই দায়িত্ব
সূত্রের খবর, পাইলট শিবিরের তরফে বড় দাবি করা হলেও সচিন ঘনিষ্ঠ নেতাদের সামগ্রিক পারফর্মেন্স ও যোগ্যতার মাপকাঠির বিচারেই তাদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। আর সেই বিষয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাতভর বৈঠকে বসেন দুই বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা। অন্যদিকে সূত্রের খবর, নতুন রদবদলের জেরে দায়িত্ব থেকে সরানো হতে পারে একাধিক পুরনো মন্ত্রীদের।
রদবদল জেলা স্তরেও
তবে অনেকই বলছেন মন্ত্রিসভার রদবদলে অসন্তোষ প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়ভার কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেই ছেড়েছেন গেহলট। অন্যদিকে মন্ত্রিসভায় রদবদলের পাশাপাশি জেলা সভাপতি সহ একাধিক বড় পদেও বড়সড় রদবদল হতে চলেছে রাজস্থানে। আর সেই রদবদলের দেখভালও করছেন বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল ও অজয় মাকেন।