বর্ষার জলের নীচে মহারাষ্ট্রের একাধিক জেলা। নাজেহাল অবস্থা স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমন পরিস্থিতিতে কার্যত ত্রাতা হয়ে উঠেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। এই মুহূর্তে পাওয়া খবর অনুযায়ী, একজন গর্ভবতী মহিলা সহ ১২ জন শিশুকে উদ্ধার করেছে তারা৷ প্রায় পুরোটাই জলের তলায় চলে যাওয়া অঞ্চলগুলি থেকে বাসিন্দাদের সুরক্ষিত আশ্রয়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এই মুহূর্তে।
জানা গিয়েছে এখনও অবধি প্রায় ৬৭ জন বাসিন্দাকে উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল। তাছাড়া একটি মৃতদেহও উদ্ধার করেছে তারা৷ গোটা রাজ্যে এখন সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২তে। ৯৯ জন এখনও নিখোঁজ। রাজ্যজুড়ে এখন ছ'ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল।
মহারাষ্ট্র সরকারের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে এটিই সসর্ববৃহৎ উদ্ধারকাজ। এখনও অবধি সর্বমোট ১.৩৫ লক্ষ মানুষকে সুরক্ষিত আশ্রয়ে স্থানান্তরিত করা সম্ভব হয়েছে। বলাই বাহুল্য, বন্যার জেরে তাঁদের সকলের বাড়িই এখন জলের তলায়। গত ২৪ ঘণ্টা ধরে লাগাতার বৃষ্টিপাতের জেরে কিছুক্ষেত্রে তো আবার জল জমেছে ২০ ফুট উচ্চতাতেও৷ হঠাৎই বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যহত হওয়ায় স্থানীয় কোভিড হাসপাতালের ৮ জন রোগী মারা গিয়েছেন।
আজ দুপুরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে অঞ্জনভেল হেলিপ্যাডে নেমেছেন। সেখান থেকে বন্যা দুর্গত ছিপলুনের দিকে রওনা দেবেন তিনি৷ অন্যদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রবীন দাভড়েকরের সঙ্গে কোঙ্কন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!