মোদী ঝড়েও অমলিন মমতা!
২০১৪ থেকে মোদীঝড় শুরু হয়েছে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে। সে বছর লোকসভা ভোটে জেতার পর একাধিক রাজ্যে হেসে খেলে জিতেছে গেরুয়া শিবির৷ প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের অবস্থাও শোচনীয়। এহেন পরিস্থিতিতে মমতাই একমাত্র মোদী বিরোধী নেত্রী যিনি হেলায় হারিয়েছেন গেরুয়া শিবিরকে। কাজেই এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম মোদীবিরোধী মুখ তিনিই। মমতা নিজেও নিজের গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। তিনি জানেন, চব্বিশে সরকার গড়তে চাইলে এখন থেকেই প্রাসঙ্গিক হতে হবে জাতীয় রাজনীতিতে।
অন্য রাজ্যের নেতানেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক!
এতদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের বাইরের রাজনীতিতে সেভাবে মাথা ঘামাতেন না তিনি। তৃতীয়বার বিধানসভায় জয়ের পর থেকেই যা সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন মমতা। এবছর শহিদ দিবসের ৪৫ মিনিটের বক্তব্যও রেখেছেন বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি মিশিয়ে। সোনিয়া গান্ধী, শরদ পাওয়ার, পি চিদম্বরমের মতো জাতীয় স্তরের নেতাদের নাম নিয়েছেন বক্তৃতা চলাকালীন। তৃণমূল সূত্রে খবর, দোসরা মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন মমতা। দলের প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর গত পনেরো দিনে তিনবার বৈঠক করেছেন জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। সম্প্রতি গান্ধী পরিবারের সঙ্গেও আলোচনা করেন তিনি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মমতার দিল্লি যাত্রা এবং পিকের এই বৈঠকের সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে৷
২০২২ এ ত্রিপুরায় তৃণমূল!
অন্যদিকে আবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে সম্মুখ সমরের হুঁশিয়ারি দিয়েই রেখেছেন৷ তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, এরপর ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও লড়বে তারা।
আবার মহাজোট?
সবমিলিয়ে বলতে গেলে, ২০১৯ সালের মতোই এবারও মহাজোট তৈরি করে বিজেপির বিরুদ্ধে নামতে চাইছেন মমতা। কিন্তু আগেরবার যে বোঝাপড়া ছিল না, কোনওরকমে তৈরি হয়েছিল জোট। এবছর সেই ভুল করতে চান না তিনি। তাই এত আগে থেকে যুদ্ধ যুদ্ধ রব। লোকসভা ভোটের তিনবছর আগে থেকেই মোদী-অমিত শাহের চোখের ঘুম কাড়তে চাইছেন তিনি।