আছড়ে পড়তে চলছে করোনার তৃতীয় ওয়েভ। আর তার আগে সমস্ত মানুষকে দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। যদিও ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সমস্ত ১৮ উর্ধ নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ করা হবে। এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। লিখিত এক জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে, ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ ঠিক কবে শেষ করা সম্ভব হবে সে বিষয়ে এখনই বিস্তারিত ভাবে কিছু জানানো যাবে না বলে দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। তবে ডিসেম্বর ৩১ এর মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি মন্ত্রকের।
২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ করা সম্ভব হবে? সে বিষয়ে লোকসভাতে প্রশ্ন করেন রাহুল গান্ধী সহ একাধিক সাংসদ। এমনকি তৃণমূলের সাংসদরাও এই বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে করোনা সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন রাখে। ভ্যাকসিন চাহিদা অনুযায়ী জোগান রয়েছে কিনা, ভ্যাকসিন বাচ্ছাদের দেওয়া যাবে কিনা এই সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে রাখা হয়। সেখানে বিরোধীদের তরফে প্রশ্ন রাখা হয় যে, কবের মধ্যে দেশের সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শ্বষ করা যাবে। আর জবাবে মন্ত্রকের সাফ জবাব, এখনই স্পষ্ট ভাবে চূড়ান্ত সময়সীমা বলে দেওয়া সম্ভব নয়। আর এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার কথা বলছেন সেখানে অন্য সুর স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার জানিয়েছেন, চলতি মাসের অগস্ট এবং ডিসেম্বর ১৩৫ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, ভ্যাকসিন তৈরি, কেনা এবগ পৌঁছে দেওয়া সব মিলিয়ে সরকারের ৯,৭২৫.১৫ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে, ৫০০ মিলিয়ান কোভ্যাক্সিনের ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ভারত বায়োটেক। আজ শুক্রবার ভারত বায়োটেকের তরফে জানানো হয়েছে যে, গোটা দেশজুড়ে চলা ঠিকাকরন প্রক্রিয়াতে সামিল হতেই কেন্দ্রকে দ্রুত এই ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে। কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির একটি ভার্চুয়াল সম্মেলনে সুচিত্রা এলা, সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। সংস্থার হায়দরাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, পুনে, অংকেলেশ্বরে এই চার শহরে এই মুহূর্তে কোভ্যক্সিন তৈরির কাজ চলছে। দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি হলেই তা কেন্দ্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!