প্রশ্ন উঠছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে
অন্যদিকে কার্যত একই সুরে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদেরও। সুর চড়িয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করতেই সরাসরি সরকারি সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি সরকার, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। সরকার বিরোধী খবর প্রকাশের কারণেই কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে সংবাদমাধ্যমের। প্রশ্ন উঠছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে।
সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহামারী চলাকালীন সময়ে একাধিকবার করোনাকালীন অব্যবস্থা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায় দৈনিক ভাস্করকে। আর প্রতিবারেই তাদের সমালোচনার কাঁটায় বিদ্ধ হয়েছে কেন্দ্র সরকার। আর তারই প্রতিশোধ নিতে আয়কর দফতরকে দিয়ে এই রেড চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও আচমকা হানা নিয়ে আয়কর দফতরের বিবৃতিতে সম্পূর্ণ অন্য তথ্য সামনে আনা হয়েছে।
কী বলছে আয়কর বিভাগ ?
সরকারি বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, ২০০৬ সালেই পানামা পেপার ফাঁস হলে তাতে দৈনিক ভাস্করের নাম জড়ায়। অভিযোগ, কর ফাঁকি দিতে নানা অসাধু উপায় অবলম্বন করেছে এই সংবাদ সংস্থা। এমনকী বিবিধ খরচকে ঘুরিয়ে বই প্রকাশ বাবদ খরচ হিসাবে দেখানো হয়েছে বার্ষিক রিপোর্টে। আর তা যাচাই করতেই আচমকা হানা দেওয়া হয়েছে আয়কর বিভাগের তরফে।
কর ফাঁকিতে জড়িত কর্ণধারেরা ?
অন্যদিকে সূত্রের খবর, দৈনিক ভাস্কর গ্রুপের বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে সংস্থার শেয়ার হোল্ডার হিসাবে নাম রয়েছে আরও প্রায় ১০০টি সংস্থার। অন্যদিকে সংস্থার প্রধান মালিকানা রয়েছে সুধীর আগরওয়াল, পবন আগারওয়াল এবং গিরিশ আগারওয়ালের হাতে। গোটা কর ফা্ঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের ঠিক কী ভূমিকা তাও খতিয়ে দেখছে আয়কর বিভাগ।