ছাত্রীর ধর্ম তুলে সম্বোধন পর্ষদ সভাপতি মহুয়া দাসের। রাজ্যজুড়ে বিতর্ক! ইতিমধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। তোষণের রাজনীতি বলে ইতিমধ্যে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। এই অবস্থায় প্রবল চাপের মুখে শিক্ষা দফতর। এই অবস্থায় বিতর্কিত মন্তব্যে মহুয়া দাসকে শোকজ করা হল।
আজ শুক্রবার গোটা দিনভর বিতর্কের পর মহুয়া দাসকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রুমানার ধর্মকে কেন উল্লেখ করা হয়েছে? এই বিষয়ে বিস্তারিত জবাব তলব করা হয়েছে সাংসদ সভাপতির কাছে।
জবাবে খুশি না হলে মহুয়া দাসের বিরুদ্ধে কিড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও তাঁর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে মুখ খুলেছেন মহুয়া দাস। তাঁর দাবি, আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম।
শুধু তাই নয়, সংবাদমাধ্যমে মহুয়াদেবী জানিয়েছেন, ৫০০ এর মধ্যে ৪৯৯ অম্বর কার্যত ইতিহাস তৈরি করেছে। আগে কখনও সংসদে কেউ এই নম্বর পায়নি। ফলে একটি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। শুধু তাই নয়, সকলের সঙ্গে রুমানার গৌরব ভাগ করে নিতে চেয়ে এমন মন্তব্য বেরিয়ে যায়। শুক্রবার রুমানাকে শিক্ষার রত্ন হিসাবে পরিচয় দেন সংসদ সভাপতি।
তিনি আরও বলেন, ''রুমানার কথা বলতে গিয়ে বেগম রোকেয়ার কথা মনে পড়ছিল আমার, যিনি একই রকম ভাবে পড়াশোনায় ভাল ছিলেন। একই রকম ভাবে সকলের মধ্যে থেকে উঠে এসেছিলেন। তাই আবেগের বশে বলে ফেলেছিলাম। সাংবাদিকরা মেয়েটির সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তাই কিছু তথ্য দিয়েছিলাম, যাঁতে মেয়েটিকে তাঁরা বুঝতে পারেন!
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। করোনার কারণে এবার পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। নয়া মূল্যায়ন পদ্ধতিতে হয়েছ পরীক্ষা। আর সেই ফলাফল প্রকাশ করতে গিয়ে মহুয়া দাস বলেন, এবার ৫০০ তে পরীক্ষা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯।
আর যিনি পেয়েছেন তিনি একজন মুসলিক কন্যা! আর তাতেই বিতর্কের সূত্রপাত।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!