দু’দিন রেকর্ড বৃষ্টিপাত
রায়গড় জেলার অভিভাবক মন্ত্রী অদিতি তৎকারে, যিনি মহাদের তাহিল গ্রামে রয়েছেন, তিনি জানিয়েছেন যে গত দু'দিনে এই এলাকায় রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কাছাকাছি পাহাড়ি এলাকায় যে সব বাসিন্দারা থাকতেন তাঁরা বৃহস্পতিবার রাতে ভূমিধসের ফলে চাপা পড়ে যান। বন্যা ও ভূমিধসের কারণে অধিকাংশ গ্রাম ভেসে গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার কাজ। নামানো হয়েছে হেলিকপ্টারও।'
প্রধানমন্ত্রীর সাহায্যের আশ্বাস
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শুক্রবার সকাল থেকেই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন যে তিনি বৃষ্টিপাত ও বন্যার বিষয়ে বর্ণনা করতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আমাকে সব সম্ভাব্য সহায়তা করবেন বলেও জানিয়েছেন। আমরা আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য সেনা, নৌ বাহিনী ও এনডিআরএফকে মোতায়েন করেছি। মানুষের প্রাণ রক্ষা করা আমাদের প্রথম ও সর্বাধিক অগ্রাধিকার।' ঠাকরে এর সঙ্গে আরও জানিয়েছেন যে বহু জায়গা, হাইওয়ে এবং রাস্তা এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে যে আক্রান্ত এলাকা ও মানুষের কাছে পৌছানো কঠিন হয়ে গিয়েছে।
আটকে থাকা বাসিন্দাদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা
মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন যে প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, রায়গড়ের প্রত্যন্ত গ্রামে ভূমিধসের কারণে ৩০-৩৫ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং যাঁরা বোল্ডার ও জলকাদার মধ্যে আটকে পড়েছেন তাঁদের উদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চলছে।
মুম্বই সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন
গত কয়েক দিন ধরেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। গত ২৪ ঘণ্টা লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে সেখানে। তাতে মুম্বই সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে রায়গড়, রত্নাগিরি, কোলাপুর সহ একাধিক জেলায়। গত ৪০ বছরে জুলাই মাসে এই পরিমাণ বৃষ্টি মহারাষ্ট্রে হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উদ্ধারকার্য চালাতে নৌ বাহিনী এবং উপকূল বাহিনীর সাহায্যও নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়াও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী নামানো হয়েছে। একটানা বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে একাধিক জায়গায় বাড়িও ভেঙে পড়েছে।