উচ্চবর্গের ব্রাহ্মণ ভোটকে টার্গেট
কিছুদিন আগেই ‘ব্রাহ্মণ সম্মেলনের' ঘোষণাও করে দেয় বিএসপি। কিন্তু এবার তাতে বাধ সাধল হাইকোর্ট। এদিকে শুক্রবারই উত্তরপ্রদেশের তারাজি রিসর্টে এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতের ভিত্তিতে কোনও রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশে স্পটতই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। আর এর পরেই নাম বদলে বাধ্য হন মায়াবতী। যা নিয়ে ফের নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
নিষেধাজ্ঞা আদালতের
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ‘ব্রাহ্মণ সম্মেলন'-এর নাম বদল করে ‘প্রবুদ্ধ বর্গ সম্মান সম্মেলন' রাখা হয়েছে। যা নিয়ে ফের শোরগোল শুরু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক মহলে। প্রথম পর্যায়ে, ২৩ শে জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত টানা ছয়টি জেলায় এই ব্রাহ্মণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। যার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন বিএসপি-র জাতীয় সম্পাদক সতীশ চন্দ্র মিশ্র।
কোপ যোগী সরকারের
সমাজের উচ্চবর্গের ব্রাহ্মণ ভোটকে টার্গেট করতেই এই নয়া কৌশল নিয়েছেন উত্তরপ্রদেশেকর বহেনজী। এমনকী শুক্রবার ব্রাহ্মণদের অযোধ্যাতে মন্দির দর্শন করানোরও কথা ছিল সতীশচন্দ্র মিশ্রর। এদিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাসি বিএসপি-র এই কর্মসূচীতে ইতিমধ্যেই খাঁড়া নামিয়েছে যোগী সরকারও। এই জমায়েতে ৫০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না বলে সাফ জানিয়েছে যোগী সরকার। এমনকী অযোধ্যার অনুষ্ঠানেও নামে কোপ।
আদৌও কি আসবে সাফল্য ?
আর তারপরেই অনুষ্ঠানের স্থান বদল করে এদিনই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ফৈজাবাদ শহরের প্রান্ত অঞ্চলে। এই অনুষ্ঠানেরও প্রধান বক্তা হিসাবে থাকবেন সতীশ মিশ্র। সন্ধ্যেবেলায় সরযূ নদীর তীরে গঙ্গা আরতিতে অংশও নেবেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে প্রচুর ব্রাহ্মণ প্রার্থীকে ভোটের ময়দানে নামিয়েছিলেন মায়াবতী। দলিত ও ব্রাহ্মণ ভোটে সমন্বয় ঘটিয়ে সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি। তবে এবারে সেই কৌশল কতটা কাজে লাগে এখন সেটাই দেখার।