অলিম্পিকের মশালেও এবছর অভিনবত্ব। এই প্রথম মশালে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হল হাইড্রোজেনকে। এখানেও পরিবেশ বান্ধবতা এবং বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, টোকিওর জাতীয় স্টেডিয়ামে ও বেশ কয়েকটি জায়গায় এই মশালগুলি জ্বলতে থাকবে অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। এবং এই জ্বালানির উৎস হবে হাইড্রোজেন।
১৯২৮ সালে আমস্টারডাম অলিম্পিকে আধুনিক মশাল ব্যবহার হওয়া শুরু হওয়ার পর থেকে এতদিন অলিম্পিকের মশালে প্রপেন, ম্যাগনেশিয়াম, গানপাউডার, রেসিন, অলিভ অয়েল ব্যবহার করা হয়েছে। এবছর সেই ধারার পরিবর্তন হল, আরও আধুনিক হল।
মশাল নিয়ে যে রিলে হয় এখন সেটা তার আট বছর পরে বার্লিন অলিম্পিক থেকে শুরু হয়।
ফুকুশিমার একটি সংস্থা যারা পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি নিয়ে কাজ করে তাঁরা এবছরের অলিম্পিক মশালে হাইড্রোজেন ভরার দায়িত্ব নিয়েছে।
এর আগে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকের সময়ও কম কার্বন নির্গত হয় এমন মশাল ব্যবহারের চেষ্টা হয়েছিল। তবে সময়ে ডিজাইন তৈরি না হওয়ায় তা কার্যকরী করা যায়নি। তারপরে ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে মশালের আকার ছোট করে কার্বন নিঃসরণ যাতে কম হয়, সেই চেষ্টা করা হয়েছিল।
এবারের মশালকে সূর্যকে মাথায় রেখে বানানো হয়েছে। বানিয়েছেন কানাডার শিল্পী ওকি সাটো। জাপানের টেনিস খেলোয়াড় নাওমি ওসাকা এদিন মশাল বহন করেছেন দেশের হয়ে।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!