ধর্মের ভিত্তিতে ছাত্রীকে সম্বোধন বিতর্কে চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা! আবেগের বশে বলে ফেলেছি, সাফাই মহুয়া দাসের

উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন মুসলিম এক কন্যা! এভাবে ধর্মের ভিত্তিতে ছাত্রীকে সম্বোধন ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক। সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের এহেন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতরও। ইতিমধ্যে এই মন্তব্যে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।

আজ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, ধর্মীয় বিভাজন করা হচ্ছে। আর এই ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি করে না বিজেপি। কিন্তু যেভাবে একটা ধর্ম তুলে বলা হচ্ছে তা ধর্মীয় সম্প্রদায়কে 'তোষণের শামিল বলে দাবি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের।

অন্যদিকে এভাবে ধর্মের ভিত্তিতে ছাত্রীকে পরিচয় করানোর ঘটনাতে একাধিক সংখ্যালঘু সংগঠনের তোপের মুখে পর্ষদ সভাপতি। সংগঠনের দাবি, অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে মহুয়া দাসকে। তবে এই বিতর্কে মুখ খুলেছেন পর্ষদ সভাপতি! তাঁর এহেন মন্তব্যে কার্যত সাফাই দিয়েছেন মহুয়া দাস।

এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিতর্কের মধ্যে পড়ে মহুয়া দাস জানিয়েছেন, ''আমি আবেগের বশে বলে ফেলেছি''! তবে এতটুকুতেই যে বিষয়টি থামছে না তা কার্যত পরিষ্কার। শুধু বিজেপি নয়, এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীও। বৃহস্পতিবার তাঁর ফেসবুকে মুসলিম কন্যা বিতর্কে বড়সড় একটি পোস্ট করেন।

তিনি লেখেন, ''মুসলিম মহিলা প্রথম হয়েছে" বলে যারা বারবার বলছে তাদের এত অবাক কেন হতে হচ্ছে!!! মুসলিম মেয়ে বলে কি কোনো অঘটন ঘটেছে!!! মেধা বুদ্ধি পরিশ্রম করে প্রথম হতে হয়। কাউন্সিলের প্রেসে শ্রুতিকটু শুনতে লাগে যখন বলা হয় "প্রথম হয়েছে মুসলমান মেয়ে"! ছাত্রীর নাম দেখে সে কোন্ ধর্মের বোঝানোর দায়িত্ব না নিলে খুশি হব। একজন ছাত্রী ফার্স্ট, ছেলেদের থেকে এগিয়ে চলেছে মেয়েরা - এটা লক্ষণীয়''।

উল্লেখ্য, গত উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। করোনার কারণে এবার পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। নয়া মূল্যায়ন পদ্ধতিতে হয়েছ পরীক্ষা। আর সেই ফলাফল প্রকাশ করতে গিয়ে মহুয়া দাস বলেন, এবার ৫০০ তে পরীক্ষা হয়েছে। আর সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯।

একজনই এই নম্বর পেয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আর এরপরেই মহুয়া দাসের মন্তব্য, এই নম্বর যিনি পেয়েছেন তিনি একজন মুসলিম কন্যা। ধর্মের ভিত্তিতে এভাবে পরিচয় ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছে জনমানসে।

জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!

More HS EXAM News  

Read more about:
English summary
controversy over Student named with religious identity, Mahua Das clarifies