মানসিক বিকাশে ধাক্কা
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই জন্মেছিল লক্ষ্যা। গত এপ্রিল মাসে জন্ম তার। সেই যে হাসপাতাল থেকে সে বাড়ি এসেছে তার পর ডাক্তারের কাছে ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোয়নি সে। বাবা-মা আর গুটি কয়েক লোকের মাঝেই বেড়ে উঠছে সে। লক্ষ্যার মা জানিয়েছেন, গত ১ বছরে আর কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান বা অন্য কোনও লোকের মুখোমুখি েস হয়নি। আর এখন গেটের বাইরে কাউকে দেখলেই ভয়ে কেঁদে ওযে লক্ষ্যা।
একাই বেড়ে উঠছে শিশুরা
করোনার কারণে হত ১ বছরে যেন থমকে গিয়েছে শিশুদের মানসিক বিকাশ। স্কুল তো বন্ধই। খেলাধুলা, মাঠে যাওয়া, বন্ধু, সমবয়সী কারোর সঙ্গে খেলাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনকী টিকিৎসকরা দানাচ্ছেন শিশুদের মধ্যে প্যানিক অ্যাটাকেক প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে ঘরে তাঁদের বন্দি করে রাখা ছাড়া বাবা-মায়েরদের কাছে উপায়ও নেই।
বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ েনই
গত ১৮ মাস ধরে বাইরের জগতের সঙ্গে এক প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে শিশুদের। স্কুলও হচ্ছে অনলাইনে। ১০ থেকে ১২ বছরের শিশুদের অবস্থা আরও সংকটজনক। তাদের শৈশবটাই থমকে গিয়েছে। এই সময় মানসিক বিকাশ বাড়তে শুরু করে শিশুদের। কিন্তু সেটা করোনার কারণে একেবারেই থমকে গিয়েছে। মাঠে গিয়ে খেলাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গেও যোগাযোগ প্রায় নেই বললেই চলে।
করোনায় বাড়ছে একাকীত্ব
করোনা সংক্রমণের কারণে একাকীত্ব বাড়তে শুরু করেছে শিশুদের মধ্যে। অনেকের মধ্যে ই মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তারা জেদি হয়ে উঠছে। মোবাইলে আকর্ষণ বাড়ছে। যদিও এইমসের প্রধান জানিয়েছেন শিশুদের স্কুল খুলে দেওয়া উচিত। কারণ শিশুদের সেই সংস্কমণের আশঙ্কা এখনআর নেই। তাদের মধ্যে করোনা অ্যান্টিবডি অনেক বেশি তৈরি হয়ে গিয়েছে।