সতর্ক থাকার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে তাঁর অধীনস্ত কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যে উচ্চ সতর্ক থাকতে হবে কারণ আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে আগামী তিনদিনের মধ্যে কঙ্কন প্রদেশে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে এবং লাল সতর্কতাও আরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে এই দুই উপকূলীয় জেলায় একটানা বৃষ্টিপাতের ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বৃহস্পতিবার ঠাকরে তা পর্যালোচনা করেন।
উদ্ধারে নেমেছে ভারতীয় নৌ বাহিনী
রত্নাগিরি, ছিপলান সহ কঙ্কন এলাকার অন্যান্য জায়গাতে উদ্ধারকারীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ভারতীয় নৌ বাহিনী। এছাড়াও এনডিআরএফের আরও দু'টি দলকে উদ্ধারের জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। একটি দলকে খের, রত্নাগিরিতে নিয়োগ করা হয়েছে এবং দ্বিতায়টিকে মহাদ ও পুনের রায়গড়ে রাকা হয়েছে। এরই মধ্যে রত্নাগিরিতে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ বছরের ওক মহিলার। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে দেহ।
বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে নদী
রত্নাগিরি জেলার জাগবুদি, বশিষ্ঠি, কোডাভালি, শাস্ত্রী, ভাবের মতো প্রধান নদীগুলি বিপদসীমার ওপরে উঠে এসেছে। যার ফলে খের, ছিপলুন, লাঞ্জা, রাজাপুর, সঙ্গামেশ্বর শহর ও সংলগ্ন এলাকা প্রভাবিত হয়েছে এবং এখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। একিভাবে প্রতিবেশী রায়গড় জেলায় কুণ্ডলিকা, আম্বা, সাবিত্রী, পাতালগঙ্গা, গাধি, উল্লাস সহ প্রধান নদীগুলিও বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে। পর্যালোচনা বৈঠকে ঠাকরে জানিয়েছেন যে আইএমডি আগামী তিনদিনে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ঠাকরে কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকতে এবং উপচে পড়া নদীগুলির স্তর পর্যবেক্ষণ করতে এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও জরুরি সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য বলেছেন।
মহাবলেশ্বরে বৃষ্টির পরিমাণ
তবে সিএমও-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে সাতারা জেলার জনপ্রিয় পার্বত্য এলাকা মহাবলেশ্বরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮০ এমএম বৃষ্টি হয়েছে, যে কারণে সাবিত্রী ও অন্যান্য নদীগুলি উপচে পড়ছে। এর আগের দিনই ভারী বৃষ্টির কারণে রত্নাগিরি জেলায় উপচে পড়া নদীর জলের কারণে কোঙ্কন রুটের ট্রেন পরিষেবা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল।