গবেষকদের গবেষণা
সমীক্ষার নেতৃত্বে থাকা জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) গবেষকরা কার্বন সিঙ্ক ও অরণ্য এবং উদ্ভিদের উৎসগুলিকে খতিয়ে দেখেছে। প্রসঙ্গত, যে অঞ্চলগুলি নির্গতর চেয়ে বেশি কার্বন শোষণ করে তাকে কার্বন সিঙ্ক বলা হয়। গবেষকরা উৎস হিসাবে গাছপালা বা সিঙ্ক কীভাবে কাজ করছে, কোনও অরণ্যের আকৃতি, বিশ্বের কোথায় নির্গতের কাজ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে এই গ্রহের আকার কেমন হয়ে গিয়েছে তা নিয়ে সমীক্ষা চলছে। এই সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল সায়েন্স অ্যাডভান্সে।
ক্রান্তীয় বনাঞ্চল অন্যদের চেয়ে বেশি সক্ষম
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পার্থিব কার্বন ফ্ল্যাক্স বিশ্ব কার্বন চক্রের বৃহত্তম অনিশ্চয়তা হিসাবে রয়ে গিয়েছে। সমীক্ষায় এও দেখা গিয়েছে যে গত দু'দশক ধরে জীবন্ত কাঠের গাছগুলি ৮০ শতাংশেরও বেশি উৎসের জন্য দায়ী ছিল এবং জমিতে মাটি, পাতা এবং ক্ষয়কারী জৈব পদার্থ নিয়ে বাকী অংশ তৈরি হয়েছিল। গবেষকরা এও দেখেছেন যে ক্রান্তীয় অঞ্চলে কার্বন নির্গত ও শোষণের কাজ চারগুণ বেশি হয় নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চল ও বোরিয়াল বা তাইগা অঞ্চলের তুলনায়।
যে বিষয়গুলি দায়ী
ক্রান্তীয় বনাঞ্চলগুলি কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার জন্য মূলত বনাঞ্চল কেটে ফেলা, বাসস্থানের অবক্ষয় ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকেই দায়ী করা হয়েছে। সমীক্ষায় এও উঠে এসেছে যে ৯০ শতাংশ বায়ুমণ্ডলের কার্বন যা গোটা বিশ্বের অরণ্যগুলি শুষে নেয় তার অধিকাংশ কার্বন আসে বনাঞ্চল কেটে ফেলার জন্য ও খরার কারণে।
নাসার উপগ্রহ ব্যবহার
গবেষকরা এ ক্ষেত্রে নাসার জিওসায়েন্স লেজার আল্টিমিটার সিস্টেম (গ্লাস) অনবোর্ড আইসিইএস এজেন্সিটির মাঝারি রেজোলিউশন ইমেজিং স্পেকট্রোডিওমিটার (এমওডিআইএস) টেরা এবং অ্যাকোয়া উপগ্রহগুলি ভূমি-ব্যবহারের পরিবর্তন থেকে কার্বনের উৎস ও সিঙ্কের ম্যাপ তৈরিতে ব্যবহার করেছে। গাছপালাগুলি কীভাবে কার্বন গ্রহণ করছে এবং তা কোথায় শোষণ করছে তা দেখা খুবই জরুরি কারণ এর থেকেই অরণ্য ও উদ্ভিদগুলি জলবায়ু পরিবর্তনে কীভাবে সাড়া দিচ্ছে তা পর্যবেক্ষণে সহায়তা করবে।