আট মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল ওই দম্পতির!
জানা গিয়েছে, মাত্র আট মাস আগে বিয়ে হয়েছিল ওই দম্পতির। স্বামীর বয়সও খুব বেশি নয়, ৩২ বছর৷ এর মধ্যেই শরীরে বাসা বাঁধে করোনা ভাইরাস৷ অবস্থা এতটাই সংকটজনক যে, একাধিক অঙ্গ এখন আর কাজ করছে না, বাইরে থেকে এক্সটাকরেলপোরাল মেমব্রেন অক্সিজেনেশনের মাধ্যমে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে তাঁকে। স্বামীর এমন অবস্থাতেও তাঁর প্রতি ভালোবাসা একবিন্দু কমেনি তাঁর স্ত্রীর। তিনি সিদ্ধান্ত নেন, তাঁর সন্তানকেই গর্ভে ধারণ করবেন৷
কী বলছে হাসপাতাল?
কিন্তু এই মুহূর্তে তা স্বাভাবিকভাবে হওয়া সম্ভব নয়। যেখানে জীবন মরণ অনিশ্চিত, যৌনমিলন একপ্রকার অসম্ভব৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, আর মাত্র ২৪ ঘণ্টাও ওই ব্যক্তি জীবিত থাকবেন কিনা তাতেও সন্দেহ রয়েছে৷ জ্ঞানত তাঁর পক্ষে বীর্য দান করা সম্ভব না। চিকিৎসকরা বিশেষ উপায়ে তাঁর বীর্য সংগ্রহ করতে পারেন ঠিকই। তবে, তার জন্য আদালতের অনুমতি প্রয়োজন।
স্ত্রীর আদালতে আবেদন
এরপরেই গত সোমবার গুজরাত হাইকোর্টে স্বামীর বীর্য সংরক্ষণের আবেদন করেন স্ত্রী। মঙ্গলবারই শুনানি শুরু হয়। বিচারপতি মেনে নিয়েছেন যে, এমতাবস্থায় ওই মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির কাছ থেকে বীর্য সংগ্রহ করার জন্য অনুমতি নেওয়স সম্ভব না৷ এরূপ ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কৃত্রিম উপায়ে বীর্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন তিনি৷ শুক্রবার এই মামলার অন্তিম শুনানি হয়।
কী বলছেন আইনজীবি?
মহিলার আইনজীবী নিলয় প্যাটেল জানিয়েছেন, 'আদালতের বক্তব্য শোনার পরেও আতঙ্কিত গোটা পরিবার। তাঁরা চান বীর্য সংগ্রহ ও সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ করা হোক৷ মাত্র আট মাস দাম্পত্য জীবন কাটানো এই স্ত্রীয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই স্বামীর বীর্য সংরক্ষণ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।'