যোগীর ঘোষণার পরেই শুরু বিতর্ক
প্রসঙ্গত উল্লেথ্য, চলতি মাসেই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে রাজ্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য নতুন ঘোষণা করতে দেখা যায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। ২০২৬ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রতি হাজারে ২.১ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি এক হাজারে ১.৯ করতেই নয়া নীতির কথা জানান তিনি। পেশ করা হয় খসড়া বিল। যা নিয়েই পরবর্তী তুমুল বিতর্ক শুরু হয় বিভিন্ন মহলে।
দুই সন্তান নীতিতে জোর, এক সন্তানে বাড়তি সুবিধা
এদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঠেকাতে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুই সন্তান নীতি কঠোরভাবে পালনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। পাশাপাশি দুইয়ের অধিক সন্তান হলে সরকারি চাকরির অধিকার লোপের পাশাপাশি চকুরিরত অবস্থায় তৃতীয় সন্তান নিলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথাও বলা হয়। এমনকী সেই ব্যক্তিরা সমস্ত সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন বলে নয়া বিলে বলা হয়।
হিন্দুত্বের ‘পরিপন্থী’ নয়া বিল
অন্যদিকে যাদের এক বা দুই সন্তান থাকবে সেই সমস্ত দম্পতিদের এই বিলে একাধিক বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কথা বলা রয়েছে। তাদের সন্তানদের চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট, স্নাতক পর্যন্ত নিখরচায় শিক্ষা এবং বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার সহ আরও একাধিক সুবিধার কথা বলছিল নয়া বিল। আর এখানেই আপত্তি তুলছে গেরুয়া শিবির। এমনকী এই বিল ‘হিন্দুত্বের' পরিপন্থী বলেও তোপ দেগেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
কেন বিল বদলাতে চাইছে ভিএইচপি, আরএসএস?
সূত্রের খবর, দ্রুত এই বিল বাতিল করে বা পরিবর্তন করে নতুন বিল আনার জন্য বিজেপিকে নির্দেশ দিয়েছে আরএসএস। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিল থেকে এক সন্তানের সুবিধার অংশ সরাসরি বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছে। তাদের দাবি এর ফলে চিনের মতো ‘লিটল এম্পেরর সিনড্রোম' তৈরি হতে পারে ভারতে। তার ফলে বাল্যকালে এক সন্তানের উপর পরিবারের সকলের দায়িত্ব থাকলেও, সেই সন্তানই বড় হলে তাকে পরিবারের সকলের দায়িত্ব বইতে হবে। তাতে সামাজিক অবনমনের পাশাপাশি আর্থিক চাপও বাড়বে বলে তাদের মত।