স্বাধীনতা দিবসের আগে বার বার ড্রোন হামলায় কেঁপে উঠছে উপত্যকা। কয়েকদিন আগেই জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশন চত্বরে জোড়া বিস্ফোরণের খবর সামনে আসে। ড্রোন হানায় কেঁপে ওঠে বিমানবন্দরের টেকনিক্যাল এরিয়া। এবার ফের জম্মুর আকাশে দেখা মিলল সন্দেহজনক ড্রোনের। আর তারপরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভূস্বর্গে।
সূত্রের খবর, বুধবার জম্মুর সাতওয়ারি এলাকায় দেখা মেলে ড্রোনের। সীমান্ত পার করেই ড্রোনটি ভারতে প্রবেশ করেছিল বলে অনুমান সেনা কর্তাদের। মূলত নজরদারির জন্য এই ধরনের ড্রোনের ব্যবহার হয় বলেও তারা জানিয়েছেন। এদিকে এই মাসেই কিছু দিন আগেই সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াতের সফরের মধ্যেই ড্রোন আতঙ্ক ছড়ায় উপত্যকায়। যা নিয়েও বিস্তর জলঘোলা হয় উপত্যকায়।
এমনকী জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশনে জোড়া বিস্ফোরণের পিছনে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার হাত রয়েছে বলে আগেই জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। কারণ অতীতে তারাই একাধিকবার এই ধরণের প্রযুক্তির ব্যবহার করে একাধিক জায়গায় হামালা চালিয়েছে। আর এই রেকর্ড ঘেঁঠেই পুলিশের অনুমান আরও বদ্ধমূল হয়েছে। তবে সাতওয়ারি এলাকার এই ড্রোনটিও তাদের পাঠানো কিনা সেই বিষয়ে এথনও নিশ্চিত ভাবে কিছু ডানা যায়নি।
অন্যদিকে গোয়েন্দের আরও অনুমান, এই সমস্ত সমস্ত চক্রান্তের পিছনে জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সরাসরি মদত দিচ্ছে পাক সরকার। ড্রোন হামলায় 'নন স্টেট অ্যাক্টর’ অর্থাৎ জঙ্গি সংগঠনগুলিকে পাক অর্ডান্স ফ্যাক্টরি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এদিকে আসন্ন স্বাধীনতা দিবসের কথা মাথায় রেখে গোটা দেশেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে গোয়েন্দা ইনপুট থেকে জঙ্গি নাশকতার পূর্বাভাস পেয়ে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরকেও।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!