দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব চত্বরে। রীতিমতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। এভাবে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা।
যদিও পুলিশের দাবি, লাঠিচার্জ করা হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে গিয়েছে পুলিশ। যদিও সমর্থকদের দাবি, পুলিশ বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। বেশ কয়েকজন সমর্থক লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত বলে দাবি।
যদিও করোনা বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জমায়েতের ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। খেলা নিয়ে চলা বিক্ষোভে এই ভাবে লাঠিচার্জের ঘটনাতে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে সমস্যা চলছে। চুক্তিপত্রে সই করা নিয়ে চলছে সমস্যা।
আজ ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের দুটি গোষ্ঠী ক্লাব তাবুর বাইরে জোড়ো হন। একদল সমর্থকদের দাবি, চুক্তিপত্র সই করুক ক্লাব। অপর আরেক দলের দাবি, এভাবে সই কর দেওয়া মানে ক্লাবকে বিক্রি করে দেওয়া। যদিও ইস্টবেঙ্গল কর্তারা শ্রী সিমেন্টের পাঠানো চুক্তিপত্র সই করতে রাজি নন।
ফলে আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আর তা নিয়েই এদিন ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে পড়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সামনে। শুধু তাই নয়, দুই গোষ্ঠীর বিবাদে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সামনের এলাকা। তবে অশান্তি যে হতে পারে সেই সংক্রান্ত একটা আশঙ্কা ক্লাব কর্তারা করেছিলেন। আর সে কারনে পুলিশকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছিল।
পুলিশের তরফেও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ঘটনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সাউথ) আকাশ মাঘারিয়া। তিনি বলেন, কার্যত প্রায় আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীর মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা আটকে রাখা হয়েছিল।
একাধিকবার ক্লাব সমর্থকদের রাস্তা খালি করার জন্যে পুলিশের তরফে আবেদন করা হয়। কিন্তু কোনও কথা শোনা হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে বাধ্য হয়ে পুলিশকে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করতে হয়। তবে এই ঘটনাতে মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
উল্লেখ্য এই সঙ্কট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চান ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এই অবস্থা বিধায়ক মদন মিত্র তাঁর একমাসের বেতন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!