৬৭ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি
করোনা সংক্রমণ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগে কেন্দ্র। আইসিএমআরের পক্ষ থেকে করা সেরো সার্ভের রিপোর্ট বলছে দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ অনেকটাই সুরক্ষিত। করোনা সংক্রমণের ধাক্কা সামলে উঠতে পারবেন তাঁরা। সেদিক থেকে অনেকটাই নিশ্চিন্ত কেন্দ্র। এবং এটা একটা ইতিবাচক দিক এই মহামারী পরিস্থিতিতে।
৪০ শতাংশের এখনও বিপদ
কিন্তু সেরোসার্ভের রিপোর্ট একদিকে যেমন নিশ্চিন্ত করছে আরেক দিকে শঙ্কাও বাড়িয়েছে। কারণ ৪০ শতাংশ মানুষ এখনও বিপদমুক্ত নন। অর্থাৎ তাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। কাজেই থার্ড ওয়েভ এলে তাঁদের সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। এমনকী প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়ে যাচ্ছে। থার্ড ওয়েভ এলো সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
শিশুদের তথ্য কী বলছে
আইসিএমআরের সেরো সার্ভে বলছে দেশের ৫০ শতাংশ শিশুর শরীরে করোনা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাদের বয়স মূলত ৬ থেকে ১৭ বছর। তারা ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে এসেছেন। করোনার থার্ড ওয়েভে শিশুরা বেশি সংক্রমিত হবেন বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছিল সেটা অনেকটাই কমে গিয়েছে। ৬ থেকে ৯ বছরের শিশুদের ৫৭.২ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ১০ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে ৬১.৬ শতাংশের শরীরে করোনা অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে।
করোনা টিকাকরণ কত
সেরো সার্ভে করা হয়েছে করোনা টিকাকরণ নিয়েও। ১৩ শতাংশের শরীরে করোনার দুটি ভ্যাকসিনই পাওয়া গিয়েছে। শিশুদের পাশাপাশি ১০০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরেও সেরো সার্ভে চালিয়েছিল আইসিএম আর। তাতেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।