তৃতীয় ওয়েভ নিয়ে আতঙ্ক। দেশবাসীর ছোট্ট কয়েকটি ভুল দেশের তৃতীয় ওয়েভের ধাক্কাকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলবে। ইতিমধ্যে দেশের কয়েকটি রাজ্যে করোনা সংক্রমন ফের বাড়তে চলেছে। তা নিয়ে গত কয়েকদিন আগে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
আর এর মধ্যেই গত ২৪ ঘন্টায় গোটা দেশ করোনা আক্রান্ত ৩৮ হাজার ১৬৪ জন। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩কোটি ১১ লক্ষ ৪৪ হাজার ২২৯ জন। শুধু তাই নয়, গত ২৪ ঘন্টায় করোনাতে মৃত্যু হয়েছে ৪৯৯ জনের। দীর্ঘদিন পর ৫০০ এর নীচে নামল মৃতের সংখ্যাও।
যদিও এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪,১৪,১০৮ জন। যা কিন্তু কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে ডাক্তারদের।
তবে চিকিৎসকদেরও দাবি, আগামী ১২৫টা দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। অগস্ট এবং সেপ্টেম্বর নাগাদ করোনার থার্ড ওয়েভ আছড়ে পড়তে পারে। এমনটাই আশঙ্কা। ফলে এই কয়েকটা দিন কড়া ভাবে করোনা বিধি মানার কথা বলছে কেন্দ্র। এই মর্মে প্রত্যেক রাজ্যকে ইতিমধ্যে সতর্কও করা হয়েছে।
অন্যদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, এই মুহূর্তে গোটা দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪, ২১,৬৬৫ জন। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ৫০০ এর নীচে নামলেও স্বস্তি দিচ্ছে দেশের সুস্থতার হারও। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে মোট ৩,০৩,০৮,৪৫৬ জন মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, তৃতীয় ওয়েভের ধাক্কা সামলাতে যত দ্রুত সম্ভব দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। তবে তা কতটা সম্ভব তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। বাংলা সহ একাধিক রাজ্যে ভ্যাকসিনের অভাব রয়েছে।
তবে তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত ৪০, ৬৪, ৮১, ৪৯৩ (৪০.৬ কোটি) মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে গোটা দেশের মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ করবে কেন্দ্র। আর সেজন্যে ইতিমধ্যে আরও ৬৬ কোটি কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ডের ডোজ কিনতে চলেছে সরকার।
অগস্ট মাসে বিপুল পরিমাণ এই ডোজ কেন্দ্রের হাতে চলে আসবে। তবে এই মুহূর্তে সরকারের লক্ষ্য যে ভাবেই হোক তৃতীয় ওয়েভকে রুখে দেওয়া। আর সেজন্যে দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন।
দ্রুত অক্সিজেন, পর্যাপ্ত বেড তৈরি রাখার নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!