কি এই Pegasus?
surveillance technology company অর্থাৎ নজরদারি চালাতে সক্ষম এক সংস্থা এটি তৈরি করেছে। ইজরায়েলের NSO Group বলে একটি সংস্থা এটির ডিজাইন করেছে। এটিকে কিউ সাইবার টেকনোলজিও বলা হয়ে থাকে। Pegasus রেনডোম স্পাইওয়্যার নয় যে খুব সহজেই এটিকে অনলাইনের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। NSO Group ২০০৯ সালে ইজরায়েলে নজরদারি চালানোর জন্য এই surveillance technology টি বানায়। একেবারে গোপনে নজরদারি চালানোর জন্যে দারুন একটি অপশন হচ্ছে Pegasus! কিন্তু কখনই Pegasus সফটওয়্যারটি বিক্রির জন্য নয়।
কার কেনার ক্ষমতা রয়েছে এই Pegasus ?
NSO Group কেবল মাত্র সরকারে সঙ্গে জোট বেঁধে কাজ করে। Pegasus মেক্সিকো এবং পানামা সরকারের সঙ্গে কাজ করে থাকে। যদিও এই বিষয়টি সবারই প্রায় জানা। ৪০ দেশের ৬০ গ্রাহক রয়েছে এই সংস্থার। তবে সংস্থার দাবি, ৫১ শতাংশ ব্যবহারকারী গোয়েন্দা সংস্থা থেকে। ৩৮ শতাংশ ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি এবং ১১ শতাংশ সেনাবাহিনী এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। কোম্পানি সূত্রের খবর, মূলত এনএসও গ্রুপ বিশ্বের এবং দেশের ভিতরে চলা অপরাধকে চিহ্নিত করতে এবং সেই অপরাধের মূল যায়গাতে পৌঁছতে এই সফটওয়্যার সাহায্য করে থাকে।
Pegasus গোপনে কি চুরি করতে পারে?
Pegasus-এর টুলের সাহায্যে হামলাকারীর এসএমএস রেকর্ড সম্পূর্ণ চুরি করা যেতে পারে। কে কখন কাকে ফোন করেছে সে সংক্রান্ত তথ্য চুরি করা যেতে পারে। এছাড়াও ইনসেন্ট ম্যাসেজিং এবং ব্রাউজিং হিস্ট্রিও সহজে হাতে চলে আসতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, Pegasus WhatsApp, Viber, Skype and BlackBerry messenger এর উপরেও নজরদারি চালাতে পারে। একেবারে গোপনে এই নজরদারি চলবে। এমনকি গোপনে আইইডি রেকর্ড করা যেতে পারে এর সাহায্যে। ব্যবহারকারীর অজান্তে স্ক্রিন শর্ট নিয়েও তথ্য রেখে দিতে পারে এই সফটওয়্যার।
ফোনে কীভাবে ইনস্টল হয় এটি!
কারোর উপরে নজরদারি চালাতে গেলে Pegasus টি দূর থেকে কিংবা একেবারে গোপনে ইনস্টল করা কার্যত এক প্রকাশ চ্যালেঞ্জ নেওয়া। যার উপর নজরদারি চালাতে হবে তাঁর যে সবসময় ফোন নম্বর জানতে হবে তেমনটা নয়। ফোন নম্বর না জানলেও Pegasus এর সাহায্যে নজরদারি চালানো যাবে। তবে এর জন্য একটু খাটতে হবে। tactical network-এর সাহায্যে transceiver station (BTS) এর মাধ্যমে নম্বর পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু মাধ্যমে নজরদারি চালানো যেতে পারে। তবে দেশের এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিরাপত্তার স্বার্থে যতটা এই প্রতিবেদনে বলা যায় ততটা বলা হল।