একুশের রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব
একুশে জুলাই ভার্চুয়াল সমাবেশের মাধ্যমেই কর্মীদের মধ্যে জাগরণ ঘটাতে চাইছে। তৃণমূলের তরফে অঙ্ক কষে দেওয়া হয়েছে। বুথভিত্তিক সমস্ত শহিদ দিবস পালন এবং সেই অনুষ্ঠানকে কীভাবে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে তার রূপরেখাও তৈরি করে দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। রবিবার শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে ব্লক স্তরে নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২১ জুলাই প্রথম পর্যায়ে প্রতি বুথে শহিদ দিবস পালন
তৃণমূলের নির্দেশ মতো এবার একুশে জুলাই পালন হবে দু-দফায়। প্রথম পর্যায়ে তা পালন হবে বুথে। সকাল ১০টায় সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে শহিদদের উদ্দেশে মাল্যদান হবে। প্রতি বুথে ৫০ জন করে কর্মী সমবেত হবেন। সেই আঙ্গিকে রাজ্যে মোট বুথ ১ লক্ষ ১ হাজার ৭৯০টি। ফলে ৫০ জন করে উপস্থিত হলে ৫০ লক্ষের টার্গেটও পূরণ হবে।
২১ জুলাই দ্বিতীয় পর্যায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ
আর দ্বিতীয় পর্যায় হল দুপুর দুটোয়। দুপুর দুটোয় কর্মীদের ফের সমবেত হতে হবে বুথে কর্মীদের। এক্ষেত্রেও ৫০ জন করে সমবেত হওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সেখানে টিভি বা জায়েন্ট স্ক্রিন লাগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে হবে। সব নেতা-কর্মীদের উপস্থিত হতে হবে। কেভিড বিধি মেনে সমর্থকদেরও হাজির করতে হবে।
মমতার ভাষণ শোনানোর দায়িত্ব বিধায়ক-সভাপতিদের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটের বাড়ি থেকে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। তাঁর ভাষণ ছড়িয়ে দেওয়া হবে বাংলা ছাড়িয়ে অন্যান্য রাজ্যেও। সেই প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছে তৃণমূল। নেত্রীর বক্তব্য বাংলার মানুষকে শোনানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিধায়কদের। প্রতিটি বুথে যাতে ২১ জুলাই পালন হয়, তা নজর রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিধায়কদের। যেখানে তৃণমূল বিধায়ক নেই, সেখানে ওই দায়িত্ব পালন করবেন জেলা সভাপতি ও ব্লক সভাপতিরা।
ভার্চুয়ালি রেকর্ড সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভিনরাজ্যেও মমতার বক্তব্য শোনা যাবে এবার। ত্রিপুরা, অসমের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যে জায়ান্ট স্ক্রিন করে মমতার ভার্চুয়াল বক্তব্য শোনানো হবে। বাংলায় মমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য ভার্চুয়ালি রেকর্ড সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।