একসঙ্গে চটজলদি নয়। বরং ধাপে ধাপে স্কুল খোলার বার্তা দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সায়ান্সের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় শিশুদের যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, তাতে স্কুল খোলা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, করোনার তৃতীয় স্রোতের আশঙ্কা ঘিরে রীতিমতো তোলপাড় গোটা দেশ। একটা সময় যে স্রোতে শিশুদের ওপর বেশি প্রভাব পড়বে বলে মেন করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে এইমস প্রধানের বার্তা রীতিমতো প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়া টুডের এক সাক্ষাৎকারে রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন যে যে সমস্ক এলাকায় করোনার পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশের কম সেখানে স্কুল খোলা যেতে পারে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে করোনা অতিমারীর প্রবল সংকটের মাঝে বন্ধ হতে থাকে দেশের একাধিক স্কুল। থমকে যায় বহু পরীক্ষা। এদিকে, মাঝে কোনও কোনও রাজ্যে স্কুলের দরজা খুললেও, তা নির্দিষ্ট কিছু ক্লাসের জন্য খোলা হয়। তেব সেই ক্ষেত্রেও করোনার দানবীয় হানার আশঙ্কা দেখা দে। এরই মাঝে ভারতে ২০২১ আসতেই দ্রুত করোনার দ্বিতীয় স্রোত আসে।
এদিন এইএমসের প্রধান চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া স্কুল খোলা ইস্যুতে জানান, স্কুলগুলি কীভাবে খোলা হবে,তা জেলা প্রশাসনকে কয়েকটি নির্দিষ্ট দিক ভেবে নিয়ে স্থির করতে হবে। তিনি জানান এটি শুধু যে আমাদের শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার ঘটনা, তা নয়। তার সঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করার বিষয়টিও জড়িত।
সাক্ষাৎকারে রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, স্কুল খেলা অবশ্যই দেশের স্রাবিক উন্নয়নের একটি দিক।তিনি ইউনিসেফকে উদ্্ধৃত করে বলেন, যে ইন্টারনেটের মাধ্যম কোভিড যুগে বুঝিয়ে দিয়েছে দেশকাল সীমানার গণ্ডি পেরিয়ে এর গুরুত্ব কোথায়। আর এই মাধ্যমে পড়াশোনাও বেশ উন্নততর হয়েছে।
এদিনের সাক্ষাৎকারে রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ভারতীয় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত ভালো। অনেকেই স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলে নিয়েছে এই করোনাকালে, বলে দাবি করেন রণদীপ গুলেরিয়া। যদিও হু এর এক সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে যে করোনার জেরে সবচেয়ে বেশি পজিটিভিটি রয়েছে শিশুদের মধ্যে। প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায়। তবে ভারতীয় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে আশাবাদী রণদীপ গুলেরিয়া। এদিনের সাক্ষাৎকারে রণদীপ গুলেরিয়া বলেন,শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন সেপ্টেম্বরেই আশা করা যাচ্ছে এসে যাবে। তারপর থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে বলে তাঁর আশা।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!