লোকসভায় তৃণমূলের টিম যতটা শক্তিশালী, রাজ্যসভায় ততটা নয়
তৃণমূল রাজ্যসভায় কোনও শক্তিশালী প্রার্থী পাঠাতে চাইছে তৃণমূল। কেননা লোকসভায় তৃণমূলের টিম যতটা শক্তিশালী, রাজ্যসভায় ততটা নয়। তাই এবার রাজ্যসভায় একজন বলিয়ে-কইয়ে সাংসদের প্রয়োজন। সেই কথা মাথায় রেখেই প্রার্থী হিসেবে বেশ কয়েকজনের নাম ভাবছে তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে গুরুত্ব বাংলা না ভিনরাজ্যের নেতাকে
একুশের নির্বাচন জিতে তৃণমূল টার্গেট করছে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে। এই পরিস্থিতিতে সংসদের দুই কক্ষেই শক্তিশালী হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন তৃণমূল কংগ্রেসের। বাংলা না অন্য রাজ্যের নেতারা এক্ষেত্রে প্রাধান্য পান, তা-ই দেখার। রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে বাংলা ও ভিনরাজ্যের নেতাদের নাম।
বিজেপির প্রাক্তনমন্ত্রী যশবন্ত সিনহার নাম নিয়ে জল্পনা তৃণমূলে
৯ অগাস্ট আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে চারটি নাম নিয়ে জল্পনা চলছে। তার প্রথম নাম হল যশবন্ত সিনহা। যশবন্ত সিনহা অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। ঝাড়খণ্ডের এই নেতা ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি মোদীবিরোধী মুখ। ফলে তাঁকে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস।
মোদী বিরোধী মুখ শত্রুঘ্নকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে তৃণমূল
মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে আরও এক প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের নাম উঠে আসছে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায়। তিনি এখনও তৃণমূলে যোগ দেননি। তবে শোনা যাচ্ছে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তিনি তৃণমূলের পতাকা তুলে নিতে পারেন। শত্রুঘ্নকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে তৃণমূল বিহারে ঘাঁটি গাড়ার পরিকল্পনা করতে পারে।
পূর্ণেন্দু বসুকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে বাংলা থেকে পূর্ণেন্দু বসুর নাম। একুশের বিধানসভা ভোটে পূর্ণেন্দু বসুকে প্রার্থী করা হয়নি। তাই তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ণেন্দু বসু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন মমতার ক্যাবিনেটে। তারপর তিন আন্দোলনের মুখ, তাই তাঁকে পাঠানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।
বিজেপি বিরোধিতা আরও চড়াতে রাজ্যসভার প্রার্থী কুণাল!
আর শোনা যাচ্ছে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের নাম। তিনি বর্তমানে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। আবার দলের মুখপাত্র তিনি। রাজ্যসভায় তাঁকে পাঠিয়ে বিজেপি বিরোধিতা আরও চড়া সুরে করতে চাইছে তৃণমূলের একাংশ। একুশের ভোটের প্রচারে বা যে কোনও ইস্যুতে কুণালের বলিষ্ঠ যুক্তি সাংসদ হিসেবে সংসদে পেশ করার সুযোগ দিতে চায় তৃণমূল। এখন ওই আসনে কাকে প্রার্থী করে তৃণমূল তার জন্য অপেক্ষা ২৯ জুলাই পর্যন্ত।