আগামী ২৩ জুলাই থেকে টোকিওতে অতি প্রতীক্ষিত অলিম্পিক শুরু হতে চলেছে। করোনা ভাইরাসের আবহে তীব্র কড়াকড়ির মধ্যেই চলছে মেগা গেমসের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। অতিমারী পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতার মেডেল সেরেমনির নিয়মেও বদল ঘটানো হয়েছে। সেই আবহে জেনে নেওয়া যাক এক ঐতিহাসিক সত্য। কেন অলিম্পিকের পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে জয় করা পদকে কামড় বসান অ্যাথলিটরা।
উসেইন বোল্ট থেকে মাইকেল ফেল্পস সহ অলিম্পিকে পদকজয়ী সব দিকপাল অ্যাথলিটদের পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে পদকে কামড় বসাতে দেখা গিয়েছে। এই অভ্যাস কার্যত রীতিতে পরিণত হয়েছে। কেন এমন রীতি, সে প্রশ্ন ক্রীড়া প্রেমীদের মনে দাগ কাটলেও অনেকেই হয়তো এর কারণ সম্পর্কে অবগত নন। আবার অনেকে হয়তো জানেন। যা একাধারে ঐতিহাসিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। জেনে নেওয়া যাক তার আসল কারণ।
১৮৯৬ সালে শুরু হয়েছিল আধুনিক যুগের অলিম্পিক। তারও প্রায় তিন হাজার বছর আগে গ্রিসে শুরু হয়েছিল এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। সেই সময় কেবল একজন জয়ী অ্যাথলিটকে সোনার পদক দিয়ে সম্মান জানানো হত। কিন্তু অনেক সময় সেই পদকে অন্যান্য ধাতু মেশানো হত বলে শোনা যায়। সেই অনিয়ম আটকাতে গেমসের আয়োজকরা তখন সোনা কামড়ে দেখে নিতেন সেটি খাঁটি কিনা। বিশুদ্ধ সোনা হলে তাতে দাঁতের দাগ পড়ে যেত। তখন থেকে সেই রীতির প্রচলন রয়েছে।
যদিও অ্যাথলিটরা এত ইতিহাস জেনে কিংবা বুঝে পদকে কামড় বসান, তা ভাবার কারণ নেই। আবার অনেকে হয়তো ইতিহাস জেনেই গেমসে অংশ নেন। কেউ ঐতিহ্য এবং পরম্পরাকে প্রাধান্য দিয়ে তো কেউ নেহাতই ফটো সেশনের জন্য এই কাজ করে থাকেন। সেটিই কার্যত রীতিতে পরিণত হয়েছে বলা চলে।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!