অনেকবার মিটিংয়েও জট কাটেনি৷ কৃষি বিল ও কৃষদের বিরোধিতার জট কাটাতে এবার সর্বদলীয় বৈঠকের রাস্তায় হাঁটল কেন্দ্র৷
লোকসভায় বাদল অধিবেশন শুরুর একদিন আগেই সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিল কেন্দ্র সরকার। বৈঠকেই উপস্থিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজনাথ সিং, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি, অর্জুন রাম মেঘওয়াল এবং পীযুষ গোয়েলের মতো হেভিওয়েট নেতারা৷
তবে শুধু হেভিওয়েট বিজেপি নেতৃত্ব নয়, এদিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত রয়েছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী, মল্লিকার্জুন খাড়গে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন। ডিএমকের পক্ষ থেকে তিরুচি শিভা এবং টিআর বালু। ওয়াইএসআর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজয় সাই রেড্ডি এবং শিবসেনার পক্ষ থেকে সঞ্জয় রাউত উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়াও অন্যান্য দল থেকেও হেভিওয়েট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এই বৈঠকে৷
সূত্রের খবর, সর্বদলীয় বৈঠকে কেন্দ্রের নয়া কৃষক আইন, গুরুত্বপূর্ণ পণ্য (বিশেষত পেট্রোপণ্য)র মূল্যবৃদ্ধি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়৷ সর্বভারতীয় নিট পরীক্ষায় ওবিসি সংরক্ষণের প্রস্তাবও রাখা হয় সরকারের সামনে৷ কেন্দ্রও স্পষ্টভাবে প্রত্যেকটি দলকে জানিয়ে দেয়, বেশ ক'টি বিল, পাঁচটি অর্ডিন্যান্স সহ মোট ২৯ টি বিষয়ে আলোচনা হবে এই অধিবেশনে। তবে, বিল নিয়ে আলোচনায় অতিরিক্ত সময় দিলে, সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে কখন আলোচনা হবে? এই প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেনি কেন্দ্র সরকার৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি দলের পরামর্শ নিয়েই এগোবে সরকার। কেন্দ্রও চায় প্রত্যেকটি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেই পা ফেলতে। তিনি সকলকে অনুরোধ করেন সভার কাজ সুষ্ঠুভাবে এবং বিনা কোনও সমস্যায় যাতে সম্পন্ন করা যায়৷
এদিনের আলোচনায় পঞ্জাবের দলগুলি কৃষি আইনের বিলোপ চেয়েছে৷ হরসমিত বাদল কৃষি আইনের উপর স্থগিতাদেশ আনতে চেয়েছে। যা সমস্ত বিরোধী দলগুলি সমর্থন করেছে৷
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!