ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই
তিনি যে দিল্লি যেতে চলেছেন, তা নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে ঘোষণা করেছিলেন ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার। সেখানে তিনি বলেছিলেন, প্রতিবছর সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই তিনি দিল্লি যান। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এবং ভোটের কারণে এবার তাঁর যাওয়া হয়নি। তবে তিনি যে শীঘ্রই দিল্লি যাবেন তার ইঙ্গিত করেছিলেন। সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের কথাও বলেছিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর সম্ভাব্য দিল্লি সফরসূচি
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬ জুলাই বিকেল তিনটের বিমানে দিল্লি যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর ২৭, ২৮ ও ২৯ জুলাই তিনি দিল্লিতেই থাকবেন। সব কর্মসূচির শেষে ৩০ জুলাই তিনি কলকাতায় ফিরতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
সম্ভাব্য ৪ দিনের সফরে নানা কর্মসূচি
প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা ছাড়াও এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্ভাব্য ৪ দিনের সফরে দেখা করতে পারেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। এছাড়াও এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ অন্য বেশ কয়েকজন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক নেতার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সংসদের অধিবেশন চলার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গেলে সংসদ ভবনেও যান। এবারও সেই সূচি থাকার সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে সংসদের সেন্ট্রাল হলে বিভিন্ন দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত হতে পারে।
২০২৪-এর নির্বাচনের মুখ নিয়ে জল্পনা
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে সারা দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধী আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে ভোটকুশলীর দায়িত্ব ছাড়ার পরে প্রশান্ত কিশোরও দিল্লিতে রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন। কংগ্রেসকে উজ্জীবিত করতে তিনি নাকি বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে রাহুল নাকি তাঁকে সরাসরি কংগ্রেসে যোগ দিতে বলেছেন। ফলে ২০২৪-এর দিকে লক্ষ্য রেখে বিজেপি বিরোধী মুখ কে তা নিয়েও জল্পনা তীব্র হয়ে উঠেছে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের দিল্লি সফর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।