রাফায়েল নাদাল, রজার ফেডেরার, ভেনাস উইলিয়ামসের পর এবার টোকিও অলিম্পিক থেকে নাম প্রত্যাহার করেন নিলেন ইতালির মাত্তেও বেরেত্তিনি। চোটের কারণেই সদ্য শেষ হওয়া উইম্বলডনের রানার্স-আপ এই তারকা বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাতে টোকিও গেমস যে আরও খানিকটা জৌলুসহীন হল, তা অনায়াসে বলা চলে।
টোকিও অলিম্পিকে না খেলার কথা আগেই জানিয়েছিলেন কিংবদন্তি রাফায়েল নাদাল। স্প্যানিশ তারকার সারিতে নাম লিখিয়েছেন গ্রেট রজার ফেডেরারও। আমেরিকার অলিম্পিক দল থেকে নিজের নাম প্র্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন সেরেনা উইলিয়ামসও। টোকিও গেমসে অংশ নিচ্ছেন না স্তান ওয়ারিংকা, সিমোনা হালেপের মতো টেনিস তারকারাও। ফলে টোকিও গেমস যে তারকাশূন্য হয়ে পড়েছে, তা অনায়াসে বলা চলে। অবশিষ্ট যে তারকাদের খেলা অলিম্পিককে সম্বৃদ্ধ করবে বলে ভাবা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মাত্তেও বেরেত্তিনি।
ইতালির ওই তারকাও টোকিও অলিম্পিক থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় কিছুটা হলেও হতাশ হয়েছেন টেনিস প্রেমীরা। গত সপ্তাহেই শেষ হওয়া উইম্বলডন ফাইনালে নোভাক জকোভিচের বিরুদ্ধে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচ চলার সময় তিনি থাইতে চোট পেয়েছিলেন। বেরেত্তিনির অলিম্পিক থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবেও সেই চোটই প্রাধান্য পেয়েছে। এই অল্প সময়ের মধ্যে ২৫ বছরের তারকার পরিবর্ত খুঁজে বের করা সম্ভব বলে জানিয়েছে ইতালির ন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি।
রবিবার নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এই দুঃসংবাদ জানিয়েছেন মাত্তেও বেরেত্তিনি। এই চরম সিদ্ধান্ত যে তিনি বুকে পাথর রেখে নিয়েছেন, তাও জানাতে ভোলেননি বিশ্বের আট নম্বর টেনিস তারকা। টোকিও অলিম্পিকে না থাকার কারণ হিসেবে তিনি পায়ের চোটের কথা উল্লেখ করেছেন। ফ্যানদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন ইতালির টেনিস তারকা। যিনি উইম্বলডনের ফাইনালে নোভাক জকোভিচের বিরুদ্ধে প্রথম সেট হেরে গিয়েছিলেন। নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ম্যাচে ফিরে এসেছিলেন বিশ্বের এক নম্বর রথী। মোকাবিলায় আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি বেরেত্তিনি। রানার্স-আপ সরে দাঁড়ালেও টোকিও অলিম্পিকে খেলার কথা জানিয়ে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন জকোভিচ।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!