কোভিডের কারণে যক্ষ্মা রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার যথেষ্ট প্রমাণ নেই, দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

কোভিড–১৯ সংক্রমণের কারণে যক্ষ্মা রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে এ ধরনের তথ্যের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেই শনিবার দাবি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এদিন এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে কিছু সংবাদমাধ্যমে রিপোর্টে বলা হয়েছে যে সম্প্রতি যক্ষ্মা রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে সেই সব রোগীদের মধ্যে যাঁরা আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।


তবে বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, '‌কোভিড–১৯ এর কারণে বা কেস সন্ধানের প্রচেষ্টা বেড়ে যাওয়ার কারণে যক্ষ্মা রোগ আরও বেড়েছে এমনটি প্রমাণ করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই।’‌ মন্ত্রক জানিয়েছে যে কোভিড–১৯ রোগীদের যক্ষ্মা স্ক্রিনিং এবং যক্ষ্মা রোগীদের কোভিড–১৯ স্ক্রিনিংয়ের সুপারিশ করা হয়েছে। এর যক্ষ্মা এবং কোভিড–১৯ এর আরও ভাল নজরদারি ও কেস সন্ধানের জন্য একীভূতের জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণের পক্ষ থেকে একাধিক পরামর্শ ও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কোভিড ও যক্ষ্মা রোগের জন্য।

মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এটা স্বীকার করে নেওয়া হয় যে কোভিড–১৯ মহামারির কারণে নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে ২০২০ সালে ২৫ শতাংশ যক্ষ্মা রোগের হ্রাস হয়েছে। মন্ত্রক জানিয়েছে যে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করে এই যক্ষ্মা রোগ হ্রাস করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'যক্ষ্মা ও কোভিড–১৯ এই দ্বৈত রোগব্যাধি সংক্রমক বলেই পরিচিত এবং প্রাথমিকভাবে তা ফুসফুসে গিয়ে আঘাত করে, যার ফলে সর্দি, জ্বর ও শ্বাস নিতে সমস্যার মতো একই উপসর্গ দেখা দেয়। যদিও যক্ষ্মা রোগ দীর্ঘকাল ধরে থাকে এবং খুব ধীরগতিতে নিরাময় হয়।’‌‌

জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!

More VACCINE News  

Read more about:
English summary
There is no evidence to support this view that tuberculosis is on the rise due to the coronavirus