মুকুল-ঘনিষ্ঠদের ঘরওয়াপসির জল্পনা
বাংলায় জেতার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করছিলেন, তৃণমূলের নজর এবার ভিনরাজ্যে। ভিনরাজ্যে সংগঠন বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছিলেন তিনি। আর ইত্যবসরে মুকুল রায় ফিরে আসেন তৃণমূলে। ত্রিপুরায় মুকুল-ঘনিষ্ঠ সুদীপ রায়বর্মন ও তাঁর অনুগামীদের তৃণমূলের ঘরওয়াপসি নিয়ে জল্পনা বাড়তে শুরু করে।
ত্রিপুরায় বিজেপির ঘর ভাঙতে শুরু করেছে
মুকুল রায় দলে আসার পর ত্রিপুরাই তৃণমূলের প্রথম টার্গেট হয় সাম্রাজ্য বিস্তার অভিযানে। বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব কাজে লাগিয়ে তৃণমূল ত্রিপুরার রাজনীতিতে ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার খেলা শুরু করে। ইতিমধ্যে ত্রিপুরায় বিজেপির ঘর ভাঙতে শুরু করেছে তৃণমূল। বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে ১৫ হাজার কর্মী তৃণমূলে যোগ দেন।
ভাঙছে বিজেপি, ভাঙছে বামেরাও
এছাড়া ছোট আকারে যোগদান তো চলছেই। ভাঙছে বিজেপি, ভাঙছে বামেরাও। শনিবার ত্রিপুরার যুবরাজনগরে চারুবাসা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২১ জন বিজেপি কর্মী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের সম্পাদক রত্নেশ্বর দেবনাথ দলীয় পতাকা তুলে দেন যোগদানকারীদের হাতে।
|
ত্রিপুরাই প্রথম টার্গেট তৃণমূলের বিস্তারে
এদিক এবার বাংলার ছাড়িয়ে ভিনরাজ্যে ২১ জুলাই পালন করতে চাইছে তৃণমূল। সেই তালিকায় উপরেই আছে ত্রিপুরার নাম। এই মর্মে ত্রিপুরার তৃণমূল সভাপতি আশিস লাল সিংকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতায়। পাঁচটি জায়গায় জায়েন্ট স্ক্রিন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনার ব্যবস্থা করা হবে।
|
ত্রিপুরায় পালাবদলের সূত্রপাত একুশে?
রাজনৈতির মহল এখন তাকিয়ে রয়েছে ২১ জুলাইয়ের দিকে। ওই দিন ত্রিপুরায় কোনও পালাবদলের সূত্রপাত হয় কি না সেটাই দেখার। তৃণমূল চাইছে ত্রিপুরায় বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সংগঠনকে ফের পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে। ২০২৩-এ ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জার হয়ে ওঠাই তৃণমূলের লক্ষ্য।