
জয়বায়ু পরিবর্তনই আসল কারণ
এইরকম বিধ্বংসী আগ্রাসী বন্যা ইউরোপে আগে দেখা যায়নি। এর অন্যতম কারণ জলবায়ু পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে। বৃক্ষচ্ছেদন, বনাঞ্চল পরিষ্কার করে নগরায়ন করা। বেশি মাত্রায় যন্ত্রের ব্যবহার এই সবই জলবায়ু পরিবর্তন ডেকে এনেছে। যার জেরে প্রকৃতির চরমরূপ দেখতে হচ্ছে মানুষকে। কয়েকদিন আগেই কানাডা পুড়ছিল তাপপ্রবাহে। তীব্র তার দহন। ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল তাপমাত্রা। অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। দাবানল শুরু হয়ে গিয়েছিল সেখানে।
বৃষ্টি বাড়ছে
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর তাপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেকারণে প্রচুর পরিমানে জলীয়বাস্প তৈরি হচ্ছে বাতাসে। যার পরিণতি প্রবল বর্ষণ। সেকারণেই গত কয়েকদিন জার্মানি, সুইৎজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, লন্ডন, এডিনবার্গ,টোকিও সহ একাধিক দেশে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে গরমে। গত কয়েকদিন ধরে ইউরোপেও রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। এখনও প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে সুইৎজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডে। এই নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে এই দুটি দেশকে।
আন্টার্কটিকার বরফ গলার জের
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন আন্টার্কটিকার বরফ গলতে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল একটি খবর। তাতে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, আন্টার্কটিকার তাপমাত্রা বাড়ছে। যার জেরে বরফ গলতে শুরু করেছে। তাতেই বাড়ছে জলীয়বাস্পের পরিমান। এক কথায় পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেই এই ধরনের বড় বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে একাধিক দেশকে। এরকম আরও বন্যার সম্মুখীন হতে হবে লন্ডনসহ ইউরোপের একাধিক দেশকে। সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।
গরম বাড়লে বৃষ্টি বাড়বে
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ২০১৮ সাল থেকে লন্ডনের তাপমাত্রা বাড়ছে। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রবণতা চলবে ২০৫০ সাল পর্যন্ত। যার জেরে বৃষ্টি বাড়বে লন্ডনে। ইউরোপেও এই একই ভাবে তাপমাত্রার বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে ইতালি, ফ্রান্স সহ একাধিক দেশে উষ্ণতম গ্রীষ্ম দেখা গিয়েছিল। সেটা বাড়তে শুরু করেছে আমেরিকাতেও।