বেশ কয়েকটি বিধানসভাতে উপনির্বাচন বাকি। যার মধ্যে রয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করলেও শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারতে হয়েছে তাঁকে। নিয়ম অনুযায়ী, ছয়মাসের মধ্যে তাঁকে জিতে আসতে হবে।
কিন্তু উপনির্বাচন নিয়ে কমিশনের তরফে কোনও সবুজ সঙ্কেত না পাওয়াতে গত কয়েকদিন আগে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন তৃণমূল সাংসদরা। তবে উপ-নির্বাচন করা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে কথা বলে সন্তোষ প্রকাশ করে সংসদীয় কমিটি।
কার্যত এরপরেই কমিশন এই রাজ্যে কার্যত উপনির্বাচনের বাদ্যি বাজিয়ে দিল। ইভিএমের প্রস্তুতি শুরু করতে বলল নির্বাচন কমিশন। যে সমস্ত কেন্দ্রে এখনও ভোট হয়নি সে সমস্ত কেন্দ্রে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটগুলির পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে এই উপ নির্বাচন করার কথা রয়েছে।
আর সেই সমস্ত জেলা আধিকারিকদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক আরিজ আফতাব এই নির্দেশিকা জারি করে। ভোটের প্রথম পর্যায়ে এই কাজ করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে বাকি কাজগুলি করে নির্বাচন কমিশণ। সেই মতো প্রাথমিক ভাবে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটগুলির খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়ে গেল।
এরপর ধাপে ধাপে এগোবে কমিশণ। মুখ্য নির্বাচনের কমিশনের নির্দেশ অনুসারে, আগামী ৬ আগস্টের মধ্যে কাজ সেরে ফেলতে হবে। তবে এই কাজ করার ক্ষেতে করোনা বিধিকে অমান্য করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে জানা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদে ইভিএম চূড়ান্ত পরীক্ষা আগে করা হয়েছে।
ফলে মুর্শিদাবাদর দুই কেন্দ্রের জন্যে আর এভিএমের প্রয়োজন এই। বাকি পাঁচ জেলাকে ইভিএম-ভিভিপ্যাট প্রথম পর্যায়ের প্রস্তুতি সারতে ইতিমধ্যে নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বলা প্রয়োজন, যে সাত কেন্দ্রে উপ নির্বাচণ হবে তার মধ্যে দুটি কেন্দ্রে ভোট হয়নি। জঙ্গিপুর এবং সামসেরগঞ্জ। করোনা আক্রান্ত হয়ে এই দুই কেন্দ্রে মৃত্যু হয় প্রার্থীর। কমিশনের নির্দেশ অনুসারে দুইবার এই কেন্দ্রে ভোটের দিন ঘোষণা করা হলেও তা করা হয়নি। সেই সময় রাজ্যে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বাড়তে থাকে। এই অবস্থায় ভোট করানোর সাহস দেখায়নি কমিশন।
এবার এই দুই কেন্দ্রে ভোট হবে। এছাড়াও, ভবানীপুর, খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর, দিনহাটা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। ভবানীপুর থেকে এবার প্রার্থী হতে পারেণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে খড়দা থেকে প্রার্থী হতে পারেন শোভনদেব চটপাধায়।
কারণ এই কেন্দ্র থেকে কাজল সিনহা জিতলেও করোনাতে মৃত্যু হয় তাঁর। শান্তিপুর এবগ দিনহাটা কেন্দ্র থেকে বিজেপি জিতলেও বিধায়ক পদ ছেড়ে দেয়। ফলে সেখানে ভোট হবে।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!