ত্রিপুরায় ২১ জুলাই পালন করার বার্তা
প্রথমত ত্রিপুরায় ২১ জুলাই পালন করার বার্তা দেওয়া হয় তৃণমূলের তরফে। ওইদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনাতে জায়ান্ট স্ক্রিন বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে ত্রিপুরা তৃণমূল। মোট পাঁচ জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিন বসিয়ে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ লাইভ সম্প্রচার করা হবে বলে জানান ত্রিপুরা তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি আশিস লাল সিং।
ত্রিপুরার একুশে জুলাই নিয়ে উৎসাহিত
তৃণমূলের ত্রিপুরা রাজ্যের সভাপতি আরও জানান, একুশে জুলাই পালন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ ছাড়াও একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন তাঁরা। ওইদিন সকাল থেকেই সাইকেল ব়্যালি হবে। একুশে জুলাই নিয়ে অন্যান্য অনুষ্ঠানও হবে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই কেন ত্রিপুরার একুশে জুলাই নিয়ে এত উৎসাহ তৃণমূল কংগ্রেসের।
২০২৩-এ ত্রিপুরায় পাখির চোখ তৃণমূলের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন ত্রিপুরার বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে। তাহলে ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে জাতীয়স্তরে বার্তা দেওয়া যাবে তৃণমূলের তরফে। তাহলে বুঝিয়ে দেওয়া যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ জাতীয় রাজনীতিতে। একুশে বাংলায় বিজেপিকে পর্যুদস্ত করার পর তাই ২০২৩-এ ত্রিপুরার দিকে পাখির চোখ তৃণমূলের।
তৃণমূলকে হাইজ্যাক করে বিজেপি হয়ে ওঠে বিকল্প
তারপর তৃণমূল চাইছে ত্রিপুরায় সংগঠন বাড়াতে। আশিস লাল সিং জানান, ২০১১-য় ক্ষমতায় আসার পর ২০১৩ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা করছে ত্রিপুরায়। কংগ্রেসের কিছু বিধায়ক যোগ দেন তৃণমূলে। শুরু হয় বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই। কিন্তু মাঝপথে তৃণমূলকে হাইজ্যাক করে বিজেপি হয়ে ওঠে বিকল্প।
বাংলায় ফের মমতার সরকার প্রতিষ্ঠার পর উলটপুরান
মূলত মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূল এগিয়ে যাচ্ছিল ত্রিপুরায়। কিন্তু তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই ত্রিপুরায় ভাঙতে শুরু করে তৃণমূল। বিজেপি তৃণমূল ভেঙে সংগঠন গড়েই সিপিএমকে হটিয়ে ২০১৮-য় ক্ষমতায় আসে। কিন্তু বাংলায় ফের মমতার সরকার প্রতিষ্ঠার পর উলটপুরান শুরু হয়ে যায়।
বিজেপির অপশাসনের বিরুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষ মমতার মুখাপেক্ষী
ত্রিপুরার তৃণমূল সভাপতি আশিসলাল সিংয়ের কথায়, বাংলার ভোটের ফর প্রকাশের পর ঘাস ফুল শিবিরে যোগদানের হিড়িক পড়ে যায়। ২৯ হাজার মানুষ বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বিজেপির অপশাসনের বিরুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।