করোনা নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে আগামী ১২৫ দিন
অন্যদিকে কেন্দ্র নতুন করে উদ্বেগের বার্তা দিয়ে স্পষ্ট ভাষাতেই শুক্রবার জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত করোনার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গোষ্ঠী অনাক্রম্য বা হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়নি দেশে। আর ঠিক সেই কারণেই করোনা নিয়ন্ত্রণে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে আগামী ১২৫ দিন। এই সময়ের মধ্যেই বোঝা যাবে তৃতীয় ঢেউয়ের আসল গতিপ্রকৃতি।
সতর্ক করছেন ডঃ ভি কে পাল
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভারতের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান তথা নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য ডঃ ভি কে পালও বেশ কিছু সাবধানবাণী শোনান। তিনি বলেন, আগামী ১২৫ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আমরা এখনও কোভিড -19-এর বিরুদ্ধে গোষ্ঠী অনাক্রম্যতা পৌঁছাতে পারিনি। এখনও দেশে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি হতে দেখা যাচ্ছে।কিন্তু এই প্রাদুর্ভাব এখনই বন্ধ না করলে বিপদ। আর এই কারণেই যথাযথভাবে কোভিড বিধি পালনের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে।"
কী এই হার্ড ইমিউনিটি?
কিন্তু কী এই হার্ড ইমিউনিটি? কী করেই তার বাস্তবরূপ সম্ভব? এই ক্ষেত্রে মানুষের ক্ষেত্রে বলা যায়, যখন একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে যদি নির্দিষ্ট অনুপাতে ভ্যাকসিন বা টিকা দেওয়া যায়, তাহলে ওই কমিউনিটি বা গোষ্ঠীতে আর সংক্রমণ হয়না। একে বলে হার্ড ইমিউনিটি। বিশেষজ্ঞদের আশা একমাত্র হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠলেই কোভিড সংক্রমণের হাত থেকে সন্পূর্ণ বাবে রক্ষা পাওয়া যাবে।
আছে ভিন্ন ব্যাখ্যাও
অন্যদিকে এর আরও একটি ব্যাখ্যাও রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরে প্রত্যেকের শরীরেই একটা অ্যান্টিবডি তৈরি হয় যা পরবর্তী কালে এই একই ধরের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। এবার ধরা যাক কোনও একটি অঞ্চলের ১ হাজার মানুষের মধ্যে ৮০০ জনের করোনা সংক্রমণ হয়েছে। এবং সুস্থও হয়ে গিয়েছেব পরবর্তীতে। এবার সমষ্টির অনুপাতে সিংহভাগের করোনা সংক্রমণের জেরে ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাবেন বাকিরাও।