দেশের কাছে লজ্জা এই রিপোর্ট!
দেশের কাছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্ট লজ্জার বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, এক রিপোর্ট যা এসেছে তা হিমশৈল্যের চুড়া মাত্র। মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্টকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। তাঁর দাবি, মানুষের সামনে এই রিপোর্ট কার্যত জলন্ত উদাহারণ। সত্য সামনে আনার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ধন্যবাদ জানান শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, আজও রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। ভয় দেখানো হচ্ছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও রেশন দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর।
রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শুভেন্দুর
রাজ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, একের পর এক পুলিশ আধিকারিকদের ফোন করেছি। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমনকি খোদ রাজ্যে পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে ফোন করে বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর মতে, এই রিপোর্ট পূর্ণাঙ্গ নয়। মাত্র ছয় হাজার মানুষের কথা শুনে তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত মানুষের কথা শুনলে ব্রিটিশ আমলের শাসন ব্যবস্থাকেও হার মানাবে। দাবি শুভেন্দুর।
মধ্যযুগীয় ব্যবস্থা!
এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও অভিযোগ করে বলেণ যে, হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা স্বত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বরং সুযোগ করে দিয়ে মধ্যযুগীয় ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ আধিকারিক, ওসি এবং আইসিরা। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার একাধিক অভিযোগ করা স্বত্বেও পুলিশের ওয়েবসাইট দেওয়া হয়নি। গ্রেফতার করা হচ্ছে না অভিযুক্তদের। কোথাও গ্রেফতার করা হলেও জামিন পেয়ে যাচ্ছে অভিযোগরা। পুলিশরা আইন না মেনে কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।