আগামী ১৫ দিন খুব কঠিন! ইতিমধ্যে কেন্দ্রের তরফে কার্যত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কয়েক ঘন্টা আগে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লাভ আগরওয়াল নতুন করে ফের কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেণ।
নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি হওয়ার তালিকাতে শিশুরাও রয়েছে। ফলে দ্রুত গাইডলাইন তৈরির কথা বলা হয়েছে।
তাঁর এই উদ্বেগ প্রকাশের মধ্যেও কার্যত আশঙ্কার কথা শোনালেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ অর্থাৎ আইসিএমআরের এক গবেষক।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই গবেষক অর্থাৎ সমীরণ পান্ডা বলছেন, প্রত্যেকদিন ফের এক লক্ষ করে করোনাতে সংক্রমণ দেখতে চলেছে ভারত। অগস্টে থার্ড ওয়েভের মাধ্যমে এই সংক্রমণের প্রবনতা ফের একবার বৃদ্ধি পেতে পারে বলে তাঁর আশঙ্কা।
তবে ওই গবেষকের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি নতুন কোনও মিউটেন্ট তৈরি না হয় তাহলে পরিস্থিতি প্রথম ওয়েভের মতো হবে। তবে নতুন করে কোনও মিউটেন্ট যদি তৈরি হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর।
আইসিএমআর ও লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষণা বলছে, টিকাকরণে শ্লথ গতি ও কোভিড বিধি ক্রমশ সহজ হয়ে যাওয়ায় সংক্রমণ বাড়তে পারে। তবে এটি দ্বিতীয় ওয়েভের মতো ভয়ঙ্কর নাও হতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'টিকাকরণের গতি যদি বাড়ানো না হয়, আর কোভিড বিধি যদি না মানা হয়, তাহলে থার্ড ওয়েভের সম্ভাবনা থাকছে।
আইসিএমআরের এই অধ্যাপক বলেন, বর্তমান যা পরিস্থিতি, তা দেখে যে কেউ আন্দাজ করতে পারে যে একটা থার্ড ওয়েভ আসবেই। তবে মাস্ক পরার অভ্যাস তৈরি করলে ও জমায়েত এড়িয়ে চললে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এ কথা তিনি স্বীকার করেছেন যে বর্তমানে টিকাকরণে গতি অনেকটাই কম।
টিকাকরণের আরও স্মার্ট পরিকল্পনা বানানোর কথাও বলেন তিনি। অধ্যাপক ড.পাণ্ডার মতে, করোনা সংক্রমণের হার কেমন, সেটা দেখেই বিধি-নিষেধ তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ।
তিনি আরও জানান,পর্যটকরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গেলে জনঘনত্বে প্রভাব পড়ে। তাই পর্যটন বন্ধ থাকাই ভাল।
আইসিএমআর আরও একটি গবেষণা করেছে ব্রেকথ্রু ইনফেকশন নিয়ে। অর্থাৎ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও কেন সংক্রমণ হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতেই এই গবেষণা। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জন্য এই ধরনের সংক্রমণ হয়েছে।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর করোনা সংক্রমণের তীব্রতা কতটা হয়, দেশের ভিত্তিতে সেই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৯.৮ শতাংশের ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন পড়েনি আর আর মৃত্যুর হার ০.৪ শতাংশ।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!