মুকুলকে শায়েস্তা করাই লক্ষ্য! নিশ্চিত হার জেনেও অঙ্ক কষছেন দিলীপ-শুভেন্দুরা
হতে পারে রাজ্যসভা নির্বাচন। আর প্রার্থী হলে হারও নিশ্চিত, সেটাও জানেন দিলীপ ঘোষ-শুভেন্দু অধিকারীরা। তবু রাজ্যসভার আসনে প্রার্থী দিতে চায় বিজেপি। আসলে বিজেপি চায় মুকুল রায়কে শায়েস্তা করতে, রাজ্যসভার আসনে জয় তাঁদের লক্ষ্য নয়। মুকুল রায়ের উপর চাপ তৈরি করতেই ঘূঁটি সাজাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ-শুভেন্দু অধিকারীরা।

দলীয় বিধায়কদের উপরে হুইপ জারির ভাবনায়
দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে দেওয়া রাজ্যসভার আসনে ভোটাভুটিতে জয়ের সম্ভাবনা নেই বিজেপির। তা সত্ত্বেও এই আসনে বিজেপি প্রার্থী দিতে চায়, কারণ মুকুল রায়ের উপর চাপ তৈরি করতে চায় বিজেপি। দলীয় বিধায়কদের উপরে হুইপ জারি করে ভোটাভুটিতে সঙ্ঘবদ্ধতার প্রদর্শন করতে চান শুভেন্দু অধিকারী। দিলীপ ঘোষের পূর্ণ সম্মতি রয়েছে এই প্রদর্শনে।

৭৪ বিধায়কের সঙ্ঘবদ্ধতার ছাপ রাখতে চায় বিজেপি
বাংলার রাজ্যসভার ফাঁকা দুটি আসনে ভোট ৯ অগাস্ট। দীনেশ ত্রিবেদীর বিধানসভা নির্বাচনের আগে গত ফেব্রুয়ারিতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে য়োগ দিয়েছিলেন। সেই আসনে বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছে তৃণমূলের। নিশ্চিত হার তারা জানে, তবু বিজেপি ৭৪ বিধায়কের সঙ্ঘবদ্ধতার ছাপ রাখতে তৎপর।

মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজে মরিয়া বিজেপি
বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে মুকুল রায় বিজয়ী হওয়ার পর তৃণমূলে যোগ দেন। ১১ জুন তিনি তৃণমূলে ফিরে আসার পর তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগবিরোধী আইন কার্যকর করতে মরিয়া হয়ে ওঠে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর স্পিকারের কাছে আবেদন করেন মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে।

মুকুল রায়কে চাপে ফেলার প্রক্রিয়া বজায় রাখতে
তৃণমূল আবার মুকুল রায়কেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেন। তারপর বিতর্ক আরও চরমে ওঠে। আর ইতিমধ্যেই রাজ্যসভা উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তাই রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপি যদি প্রার্থী দেয় ভোটাভুটির প্রশ্ন এসে পড়বে। সেই ভোটাভুটিতেই বিধায়কদের সঙ্ঘবদ্ধতার প্রদর্শন করে মুকুল রায়কে চাপে ফেলার প্রক্রিয়া বজায় রাখতে চাইছে বিজেপি।
জীবনসঙ্গী খুঁজছেন? বাঙ্গালী ম্যাট্রিমনি - নিবন্ধন নিখরচায়!