জামিন পেয়েছেন চোকসি
জানা গিয়েছে যে ডোমিনিকা হাইকোর্ট থেকে চোকসিকে জামিন দেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি অ্যান্টিগা ফিরে যেতে পারেন এবং সেখানে গিয়ে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে চিকিৎসা করাতে পারেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ করুণ বলে জানা গিয়েছে। মেহুল চোকসি জানিয়েছেন যে তিনি সত্যি যে নিরাপরাধ তা জানানোর জন্য এখনও ভারতে ফিরে তা প্রমাণ করতে রাজি আছেন কিন্তু তাঁর মেডিক্যাল অবস্থা ভালো নয়। এর সঙ্গে তিনি এও জানান যে ভারতে সুরক্ষা নিয়ে তিনি গুরুতর আশঙ্কা করছেন।
অ্যান্টিগায় ফেরেন ব্যক্তিগত বিমানে করে
ব্যক্তিগত বিমানে করে চোকসিকে অ্যান্টিগা ও বারবুডায় নিয়ে আসা হয়। তাঁকে স্থানীয়ভাবে মেডিক্যাল চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং সেই রিপোর্ট ডোমিনিকান কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয় এবং তিনি যখনই বাড়ি থেকে বের হবেন প্রত্যেকবার তা ডোমিনিকাকে জানাতে হবে। মেহুল চোকসি বলেন, ‘আমি বাড়িতে ফিরে এসেছি কিন্তু আমার মন ও শরীরের মধ্যে এই অত্যাচার যতটা না স্থায়ীভাবে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে, তার চেয়েও বেশি প্রভাব ফেলেছে আমার আত্মার ওপর। আমি ভাবতেই পারি না যে আমার সব ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়া ও সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পরও ভারতীয় এজেন্সিরা আমায় অপহরণের চেষ্টা করেছিল।'
তিনি প্রস্তুত সহায়তা করতে
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩,৫০০ কোটি টাকার ঋণ প্রতাণা কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ৬২ বছরের পলাতক মেহুল চোকসি। তিনি দাবি করেছেন যে তিনি তদন্তকারী সংস্থাদের অ্যান্টিগাতে এসে তাঁকে জেরা করার কথা জানিয়েছিলেন। মেহুল বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থার কারণে আমি সফর করতে পারব না, তবে অনেকবার আমি এজেন্সিকে এখানে এসে আমায়জেরা করার কথা বলেছি। আমি সবসময়ই এজেন্সির সঙ্গে সহায়তা করতে প্রস্তুত কিন্তু এ ধরনের অমানবিক অপহরণ আমি কখনই প্রত্যাশা করিনি।'
অপহরণের ফলে চোকসি বির্পযস্ত
মেহুল চোকসি এও বলেন, ‘এখনও আমি তৈরি ভারতে গিয়ে নিজেকে নিরাপরাধ প্রমাণ করতে। কিন্তু আমার মেডিক্যাল পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয় এবং আমার অপহরণের শেষ ৫০ দিন আমায় চিরকালের মতো অসুস্থ করে দিয়েছে এবং আমি খুব গুরুতরভাবে ভারতে আমার সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কিত। আমি জানি না কখনও আমি আবার স্বাভাবিক মানসিক অবস্থায় ফিরতে পারব কিনা।'
রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ মেহুল চোকসি
প্রসঙ্গত, খুব রহস্যজনকভাবে গত ২৩ মে আ্যান্টিগা ও বারবুডা থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন মেহুল চোকসি, যেখানে তিনি ২০১৮ সাল থেকে রয়েছেন। তাঁর আইনজীবী দাবি করেছেন যে তাঁকে ২৩ মে অ্যান্টিগার জলি হারবার থেকে অপহরণ করা হয় এবং নৌকা করে ডোমিনিকায় নিয়ে আসা হয়।